কাজী সলিম গাইবান্ধা থেকেঃ
মহান স্বাধীনতা দিবসে বাঙালি জাতি বিনম্র শ্রদ্ধায় ভরে স্মরণ করেছেন স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদদের। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পলাশবাড়ীর বিভিন্ন জায়গায় সূর্য উদয়ের সাথে সাথে বীর শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। কিন্তু পলাশবাড়ী কাশিয়াবাড়ীর বধ্যভূমিতে ঘটেছে তার ব্যতিক্রম। মহান স্বাধীনতা দিবসে রাত ১১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত কেউই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাননি কাশিয়াবাড়ীর বধ্যভূমির বীর শহীদের প্রতি।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ১নং কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত পল্লী পশ্চিম রামচন্দ্রপুরে পাক হানাদার বাহিনী ও স্থানীয় স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার-আলবদর আলসামস তাদের দোসরদের সহযোগিতায় এলাকার বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশুদের ধরে নিয়ে এসে একত্রে সারিবদ্ধ করে প্রকাশ্যে দিন-দুপুরে নির্মম ভাবে হত্যাযজ্ঞ চালায়।
স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে উপজেলা প্রশাসন সেখানে একটি নাম ফলক নির্মাণ করেন। স্বাধীনতার পর থেকেই বিভিন্ন দিবসের দিনে বীর শহিদদের প্রতি আনুষ্ঠানিক ভাবে স্মরণ করে থাকে। স্বাধীনতা দিবসের দিন রাত ১১টার দিকে খবর পেয়ে উক্ত বধ্যভূমিতে গিয়ে দেখা যায়, অপরিষ্কার অবস্থায় রয়েছে কাশিয়াবাড়ীর বধ্যভূমিটি। এবার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে পলাশবাড়ী কাশিয়াবাড়ী বধ্যভূমির কেউ খোঁজ-খবর রাখেননি। স্থানীয় এলাকা বাসী জানান, প্রতি বছর উক্ত বধ্যভূমিতে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হতো। এবার শ্রদ্ধা জানানোতো দুরের কথা কেউ বধ্যভূমিটি দেখতে পর্যন্ত এলেন না। সারাদিন কেউ কোন খোঁজ খবর না নেওয়ায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে এলাকার কিছু যুবক বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা কনক চন্দ্র, আনছার আলী, বাদশা মিয়া, আব্দুস ছালাম ও অনেকই জানান, বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান জানান, উক্ত বধ্যভূমিতে প্রতি বছরই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শ্রদ্ধা জানায়। এবছর তারা কেন বধ্যভূমিটিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন না তা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিকের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। #