রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হাটগাঙ্গোপাড়া তহশীল অফিসের দালালদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায় যে, গত ২৯-০৭-২১ ইং তারিখে উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বাইগাছা গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে এমরান আলী হাটগাঙ্গোপাড়া তহশীল অফিসের দালাল চক্রের সদস্য একই ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামের মৃত সাধন শাহ্ এর ছেলে শামসুদ্দিন শাহ্ ও শালমারা গ্রামের মৃত মানিকুল্যাহ এর ছেলে আঃ মান্নান এর বিরুদ্ধে নিজের জমি অন্যের নামে খারিজ করে দেওয়ায় বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেনন।
অভিযোগ সুত্রে আরো জানা যায় যে, শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বাইগাছা মৌজার ৩০১ নং খতিয়ানের ৫৯৭ নং দাগের ৮ শতক জমি এমরানের বাবার রেকডীয়/পৈত্রিক সম্পত্তি যা ভোগদখলে থাকা অবস্থায় হাটগাঙ্গোপাড়া তহশীল অফিসের দালাল চক্রের সদস্য তেবাড়িয়া গ্রামের মৃত সাধন সাহের ছেলে শামসুদ্দিন শাহ ও শালমারা গ্রামের মৃত মানিকুল্যাহ এর ছেলে আঃ মান্নান ৪৯৩৯ এবং ৪৯৪০ নং দলিলের উপর অবৈধ ভাবে ১২৭৯ নং দাগের উপর হাতে ৫৯৭ নং দাগ লিখে
গত ০৪-০২-২১ ইং তারিখে উপজেলা সহকারী কমিশনার কতৃক উক্ত দাগ নং পরিবর্তন করে বাইগাছা গ্রামের শফিজ উদ্দিনের ছেলে বুলবুল হোসেন এর নামে খারিজ করে দেন।
এ বিষয়ে এমরানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, হাটগাঙ্গোপাড়া ভুমি অফিসের দালাল চক্রের মূল হোতা শামসুদ্দিন আমার এ সর্বনাশ করেছে।
কিভাবে করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি উপজেলা ভূমি অফিসের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। সেখানে খারিজ করতে যে মোবাইল নাম্বারটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি ও ঐ দালাল শামসুদ্দিনের।আমার জমি সে অন্যের নামে খারিজ করে আবার উল্টো আমাকেই ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমি ঐ খারিজ বাতিলের আবেদন করলে আবার ও সে আমার কাছে মোটা অঙ্কের অর্থ চাচ্ছে এবং আমাকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে।
নিজে ও তার কিছু অনুসারীদের দিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে হাট গাঙ্গোপাড়া তহশীল অফিসে দালালী করে আসছেন বলে জানান এমরান আলী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন, হাটগাঙ্গোপাড়া ভুমি অফিসের অপর নাম শামসুদ্দিন শাহ্।যদিও সে ঐ অফিসের কোন সরকারী নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারী নয়। তবুও তাকে ছাড়া কোন কাজই হয়না বলে জানান তারা।এছাড়াও বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় “বাগমারায় সরকারি সম্পত্তি দখলের অভিযোগ” শিরোনামে নিউজ প্রকাশিত হলে সে বিষয়ে তথ্য নিয়ে জানা যায় যে, তেবাড়িয়া গ্রামের মৃত তছির উদ্দিন এর ছেলে সাইদুর রহমানের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে হাটগাঙ্গোপাড়া তহশীল অফিসের দালাল চক্রের সদস্যরা ধামিন কউর মোজার তেবাড়িয়া গ্রামের প্রায় ২০ শতক জমি ক ও খ কোন তফসিলে না থাকা সত্বেও চেক কেটে দেন বলে জানা যায়।
যেকোন সেবা নিতে গেলেই সেখানে গুনতে হবে ঘুষ ।দীর্ঘ দিন থেকেই এ চক্রের একাধিক সদস্য হাটগাঙ্গোপাড়া তহশীল অফিসে ঘুষ দুর্নীতি,একজনের জমি অন্য জনের নামে খারিজ,অল্প টাকার চেক দিয়ে বেশী টাকা গ্রহন সহ নানা ধরনের অপকর্ম করে আসছেন বলে জানান এলাকার সুধীজনরা।
তেবাড়িয়া গ্রামের কাশেম উদ্দিন শাহ্ এর ছেলে হাসান আলী বলেন, ২০০৬ সালে আমার জমি খারিজ করে দিবেন বলে ২০০০টাকা নিয়ে আজও খারিজ করে দেয় নাই শামসুদ্দিন শাহ্।শামসুদ্দিন দীর্ঘ দিন থেকেই হাটগাঙ্গোপাড়া তহশীল অফিসে দালালী করে আসছেন এবং অনেকের কাছ থেকেই সে তহশীল অফিসের মাধ্যমে জমির খাজনা,খারিজ,সহ নানা ধরনের কাজ করে দেওয়ার নাম করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে বাগমারা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান বলেন অভিযোগটি পেয়েছি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এবিষয়ে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব শরিফ আহম্মেদ বলেন, অভিযোগ হয়েছে আমি এসিল্যান্ডকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করার নির্দেশ দিয়েছি।