নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ সাংবাদিক নির্যাতন বিরোধী সংগঠন।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে হাতের মেহেদি রঙ মুছে যাওয়ার আগেই প্রাণ দিতে হয়েছে আছমা আক্তার জেরিন (১৮) নামে এক নববধূকে।
পরিবারের অভিযোগ, শ্বশুর বাড়ির লোকজন ওই তরুণীকে মারধর করে হত্যা করেছে,ঘটনাটি ঘটেছে নাঙ্গলকোট উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামে,
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে,
এ ঘটনার পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সাতবাড়িয়া গ্রামের নুর আফজাল মোল্লার মেয়ে আছমা আক্তার জেরিনের (১৮) সাথে একই গ্রামের সিরাজ মজুমদারের ছেলে নাজমুল মজুমদারের চার মাস আগে বিয়ে হয়। তারা দু’জনে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ে করেন।
তবে বিয়ের পর থেকে জেরিনকে মেনে নিতে পারেননি তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকজন,
বিয়ের দু’ মাস পর নাজমুল সৌদি আরবে চলে যাওয়ার পর থেকে তাঁর ওপর নির্যাতন করে স্বামীর পরিবারের লোকজন।
সোমবার রাতে জেরিন তার শ্বশুর বাড়িতে ধান মাড়াইয়ের কাজ করছিল,
এ সময় জেরিনের বড় ভাই আতিক প্রবাস থেকে কল করলে কাজ রেখে ভাইয়ের সাথে কথা বলতে ঘরে চলে যান।
এতে জেরিনের শ্বশুর বাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরে ঢুকে তাকে গলা টিপে ধরে মারধর করলে ঘটনাস্থলেই জেরিনের মৃত্যু হয়।
নিহত জেরিনের চাচা নুরুল হুদা মোল্লা জানান, শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাঁর ভাতিজিকে পরিকল্পিতভাবে মারধর করে হত্যা করেছে,
হত্যার পর তারা ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চেষ্টা করেছেন,
কিন্তু নাঈলকট থানার ওসি বখতিয়ার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির ব্যাবস্তা হবে বলে জানিয়েছেন।
নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে,
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।