প্রশাসনকে ব্যবহার করে গণবিরোধী ও বিভক্তি সৃষ্টিকারী তৎপরতা বন্ধের দাবী
শাহানাজ পারভীনঃ চট্রগ্রামঃ- ১২লক্ষ সন্দ্বীপবাসির ভূমির স্বীকৃতি অধিকার ফিরে পাওয়ার ন্যায়সঙ্গত দাবীর সাথে সহিংসতা জানিয়ে গণসহিংত আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল আজ ২০শে এপ্রিল ২০২১, মঙ্গলবার এক যুক্ত বিবৃত্তিতে বলেন, সন্দ্বীপ নদী শিকস্তি পূর্ণবাসন সমিতির অন্যতম নেতা মনিরুল হুদা বাবনের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট ১৯১৩-১৯১৬ সালের জরিপের ভিত্তিতে সীমানা নির্ধারণ করে সন্দ্বীপের ৫৯০ বর্গমাইল ভূমির চৌহদ্দি সন্দ্বীপ উপজেলার অন্তর্ভুক্ত করতে আদেশ দেন, এবং এর আগের ১৯৮৫ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতির অধ্যায় দেশ বলে উরিরচরকে সন্দ্বীপের ইউনিয়ন ঘোষণা করে সন্দ্বীপ উপজেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যা সন্দ্বীপের ৬০মৌজার অংশ বিশেষ। ফলে রাষ্টীয়ভাবে ওই ভূমির অধিকার সন্দ্বীপবাসীর স্বীকৃতি ও ন্যায়সংগত অধিকার। এই বিশাল ভূমি ১৯৯৭-১৯৯৮ সালে সাগর বৃক্ষে বিলীন হয়ে যায়, যা ২০১২-১৩ আবার জেগে উঠতে শুরু করে এখন দৃশ্যমান।
কিন্তু আমরা উদ্যোগের সাথে লক্ষ করলাম হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বাংলাদেশ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবহার করে সন্দ্বীপ উপজেলার উরিরচর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী বাংলাবাজার এলাকায় সীমানা পিলার স্থাপন করেছেন। সন্দ্বীপবাসীর আদালত কতৃক স্বীকৃতি অধিকার হরণকারী এই গণবিরোধী ও স্বেচ্ছা চারী তৎপরতার ফলে সন্দ্বীপের ১২ লক্ষ মানুষের মধ্যে ৮ লক্ষ নদী ভাঙ্গন কবলিত বাস্তহারা সন্দ্বীপবাসী সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্ছো আদালতের আদেশ অমান্য করে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের মদদে গণবিরোধী তৎপরতা চালাচ্ছে। স্বেচ্ছা চারী ও বেআইনিভাবে সীমানা পিলার স্থাপন এর ফলে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার মানুষের মধ্যে অস্থিরতা ও বিভক্তি সৃষ্টি করবে যা ঐ এলাকায় তো বটেই দেশের কারো জন্যই মঙ্গল জনক নয়।
জোনায়েদ সাকি ও আবুল হাসান রুবেল। অবিলম্বে বিতর্কিত সীমানা পিলার প্রত্যাহার করার দাবী জানিয়ে হাইকোর্ট কতৃক স্বীকৃতি ও ন্যায়সঙ্গত ভূমির অধিকার সন্দ্বীপবাসীকে ফিরে দেওয়ার আহবান জানান।