মোঃসাদ্দাম হোসাইন সোহান
বিশেষ প্রতিনিধিঃ-
ভাঙ্গা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেবলা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
১৭ ডিসেম্বর ২০২০ এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক এর কার্যালয় সহ বেশ কয়েকটি কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভাঙ্গা উপজেলার শরৎচন্দ্রো মালো নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগের অনুলিপি জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন অধিদপ্তরের পাঠিয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত দেবলা চক্রবর্তী ভাঙ্গা উপজেলার মৎস কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নেবার পর থেকেই ঘুষ বাণিজ্য, ইউপি পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রকল্প, এনএটিপি-২ প্রকল্প, উন্মুক্ত জলাশয়ে বিল নার্সারি স্থাপন প্রকল্প, খাল খনন প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাৎসরিক বরাদ্দের ৫০ শতাংশ লোপাটের সঙ্গে জড়িত।
অভিযোগে আরো বলা হয়,দেবলা চক্রবর্তী চাকরিতে যোগদানের পর নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ করেছেন। তার ব্যক্তিগত আত্নীয় স্বজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও রেখেছেন বিপুল পরিমান টাকা।এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে প্রতিবছর মুসলমান জেলেদের না দিয়ে বেশীরভাগ হিন্দু জেলেদের মাঝে ঘুষ নিয়ে ঋন বিতরণ।অফিস সহকারীর মাধ্যমে এই টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই কর্মকর্তা।নাকের ডগায় অর্ধশত জেলেদের নিকট থেকে বর্ষা মৌসুমে চুক্তিতে নদী ও খালে ভেশাল দিয়ে পোনা মাছ শিকার করছে জেলেরা।এই সমস্ত জেলেদের নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই কর্মকর্তা।প্রতি বছর পাইকারি ও খুচরা ঝাঁটকা মাছ বিক্রি করলেও তিনি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ের রফাদফা করেন।প্রতি বছর ভাঙ্গা বড় মাছের আড়ৎ থেকে বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এই কর্মকর্তা।প্রতি বছর হত দরিদ্র জেলেদের জাল,ভীট মৎস উপকরণ বিতরনে দূর্নীতি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।মৎস অভয়আশ্রম দেবার নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।ঘুষ না দিলে অভয় আশ্রম লিজ দেন না তিনি।হাটবাজারে জেলেদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মাসিক ঘুষ লেনদেন করেন এই কর্মকর্তা।এছাড়াও মাসোহারা নিয়ে অবৈধ কারেন্ট জাল প্রকাশ্যে হাট বাজারে বিক্রি করার অনুমতি দিয়েছেন এই কর্মকর্তা।অভিযানের নামে যে সমস্ত জেলে মাসিক টাকা দেন না,ঐ সকল জেলেদের জাল সহ আটক করে জেলে পাঠান।যে সমস্ত জেলেরা মাসিক টাকা দেন তাদের দেখেও দেখেন না তিনি।
তিনি প্রতি বছর মৎসজীবি ও মাছ ব্যাবসায়ীর নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন।প্রতি বছর ঝাঁটকা মাছ আটক না করে মাছের আড়ৎ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন।
অভিযুক্ত মৎস্য কর্মকর্তা দেবলা চক্রবর্তীর নিকট সাংবাদিকেরা এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। কিছু ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এসব অভিযোগ তুলেছেন।