নিজস্ব প্রতিনিধ ফটোতে ছিলেন মানিক
সোনারগাঁয়ে চাঞ্চল্যকর শিশু হুমায়রা আক্তার (০৭) হত্যা মামলার মূল হত্যাকারী সেলিম ও শুকুর আলীকে মুন্সিগঞ্জ থেকে আটক করেছে র্যাব-১১।
সোমবার (১ আগস্ট) মুন্সিগঞ্জ থেকে তাদের আটক করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান র্যাব-১১ এর সিপিসি ১ কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার এ কে এম মুনিরুল আলম।
র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও আটককৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড করা হয়। এরপর অন্যান্য আসামীদের সহযোগিতায় পরস্পর যোগসাজশে শিশু হুমায়রাকে হত্যা করে লাশ গুম করে এবং নিখোঁজের দুইদিন পর তার লাশ সোনারগাঁ থানাধীন বড় নয়াগাঁও এলাকায় বালুর মধ্যে অর্ধেক গুঁতা অবস্থায় পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মৃধাকান্দি গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে ও নাগেরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী হুমায়রা গত মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখোঁজি করে সন্ধান না পেয়ে তার বাবা ওই দিন সন্ধ্যায় সোনারগাঁও থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে গত বৃহস্পতিবার আটক করে শিশুর ভাবি বৈশাখী আক্তার ও বৈশাখীর মা মনোয়ারা বেগমকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। পর তাদের আটক করে আদালতে পাঠায় সোনারগাঁ থানা পুলিশ। এরপর গত শুক্রবার নিহত শিশু হুমায়রার মা সেতেরা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
| র্যাব-১১ আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত আসামীরা উক্ত হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে। হত্যা মামলার অধিকতর তদন্তের জন্য আটককৃত আসামীদেরকে তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।