ডেস্ক রিপোর্টঃ
জয়পুরহাট ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে এক স্বাবেক স্বামীর করা পর্ণগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৪/১১/২০১৯ বগুড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে অভিযোগ করা হলে আদালত মামলটি আমলে নিয়ে নির্দেশ দেন। বগুড়া সদর থানা পুলিশকে৷
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদিউজ্জামান।
আসামীরা হলেন- আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের বোড়াই গ্রামের শফিকুলের মেয়ে সুমি আক্তার (২৪) ও মান্দাই গ্রামের মো. আলী আনসারের ছেলে মোঃ আসিক বিল্লা ওরফে সিজান (২১)। পলাতক৷
আদালত সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামীর সাথে বনি বনা না থাকার সুবাদে আসামীরা বিভিন্ন সময়ে তার ব্যক্তিগত ফেজবুক আইডি হ্যাক ও পাসোয়ার্ড জেনে যাওয়ায় । আসামীরা তাকে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ও সম্মানহানির ভয় দেখাতো পরে আসামীরা বেপরোয়া হয়ে উঠে ওই অসিল পোষ্ট স্কিনশর্ট ধারন করে তা ডিজিটাল কারসাজির মাধ্যমে পর্ণগ্রাফিতে রূপান্তর করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাবেক স্বামী রবিবার (১৮ ডিসেম্বর ২০১৯) সুমি আক্তার ও তার মামতো ভাই আসিক বিল্লাহ ওরফে সিজানসহ দুই জনকে আসামী করে ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।
থার্টি ফাস্ট নাইটে ২০২০ বগুড়া ছাত্রী নিবাস থেকে রাতেই মামলার ১নং আসামী সুমি আক্তারকে গ্রেফতার করে বগুড়া সদর থানা পুলিশ। যানা যায় গ্রেফতার সুমি আক্তার বগুড়া আজিজুল হক কলেজের ভূগল বিভাগের কথিত ছাত্রী৷
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদিউজ্জান বলেন, স্বাবেক স্বামীর করা পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় এক আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ওপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।