ওসমান গনি
মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর সহ ৮ শহীদের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ দোয়া ও মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্প স্তবক অর্পণ ।
শহীদ জাহাঙ্গীর স্মৃতি সংসদ আয়োজনে ভবেরচর স্মৃতি স্তম্ভে বিশেষ দোয়া ও পুষ্পস্তব অর্পণ শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীরের সহোদর বিশিষ্ট শিক্ষা অনুরাগী, সাবেক উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ও গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি , বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফেজ আহাম্মদ বলেন, ১৯৭১ সালে আমার ভাই জাহাঙ্গীর অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। আমার মাকে বলেছিল জাহাঙ্গীর একটা বাঙালিকে হত্যা করলে আমি পাকিস্তানি ২ জনকে হত্যা করব। ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যরা বর্তমান উপজেলার ভবেরচর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন বর্তমানে নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ এলাকায় আক্রমণ চালায় । সে সময় আমি সংগ্রামী পরিষদের সভাপতি এবং গজারিয়া ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলাম । জাহাঙ্গীর আমার সাথেই দাঁড়ানো ছিল ।পাকিস্তানিদের গুলির আওয়াজ শুনে আমি পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ি। সাঁতরিয়ে আমি বাড়ি ফিরেছি। জাহাঙ্গীর গুলি বৃদ্ধ হয়। পাকিস্তানি সৈন্যরা সেই দিন জাহাঙ্গীরকে নির্মম ভাবে হত্যা করে । একই দিনে শহীদ জাহাঙ্গীর সহ সাতজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয় । ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে এসব কথা বক্তব্যে বলেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজা আহমেদ ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, গজারিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা সোহেব আলী, উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান সরকার সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।