আবু ইউসুফ নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বরাবর অফিসার ইনচার্জ গোবিন্দগঞ্জ থানা গাইবান্ধা। বিনীত নিবেদন এই যে আমি মোঃ লিটন মিয়া (৩২) এনআইডি নং (8679371453) পিতা মোঃ আব্দুল মান্নান সাং কুমিড়াডাঙ্গা (দক্ষিনপাড়া) পোঃ ও ইউ, পিঃ মহিমাগঞ্জ থানা গোবিন্দগঞ্জ, জেলা গাইবান্ধা। প্রতিপক্ষ – ১ মোঃ আনারুল ইসলাম (৩৮), ২। মোঃ আপেল মিয়া (৩২), ৩। মোঃ আশরাফুল ইসলাম (২২), সর্ব পিতা – মোঃ আঃ কাফি, ৪। মোঃ আঃ কাফি (৫৫), পিতা মৃত রহিম উদ্দিন, ৫। মোছাঃ রাবেয়া বেগম (৪০), স্বামী- মোঃ আঃ কাফি, সর্ব সাং- কুমিরাডাঙ্গা ( দক্ষিণপাড়া) থানা গোবিন্দগঞ্জ জেলা গাইবান্ধা, গণসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে প্রতিপক্ষ গণ পরস্পর ভাগি শরিক এবং পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করিয়া আসিতেছি। দীর্ঘদিন হইতে প্রতিপক্ষ গণের সহিত বসত বাড়ির জমির সীমানা লংঘন লইয়া মনোমালিন্যতা চলিয়া আসিতেছে। বিগত দিনে প্রতিপক্ষ গণ স্থানীয় আমিন দ্বারা বিভাজিত আমার পিতার স্বত্ব দখলয় তপসীল জমির সীমানা লংঘন করিলে স্থানীয় মহৎ মাতব্বর ও সাক্ষীগণের সহযোগীয় মীমাংসা হওয়া সত্বেও গত। ০১/০১/ ২০২৩ ইং তারিখে প্রতিপক্ষ গণ সীমানা লংঘন করিয়া বসত বাড়ী নির্মাণের চেষ্টা করিলে সাবেক চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে এক গ্রাম্য শালিশে আপোষ – মীমাংসা হয়। তথাপিও প্রতিপক্ষ গণ পূর্ব জের ধরিয়া পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গত ২৬/০৫/ ২০২৩ ইং তারিখ রোজ শুক্রবার সকাল আনুমানিক ১১, ঘটিকা নাগাদ আমাদের অনুপস্থিতে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার পিতার ও আমাদের পরিবারের পুরুষ সদস্যের অনুপস্থিতিতে
৪নং প্রতিপক্ষ আঃ কাফি এর হুকুমে অন্যান্য প্রতিপক্ষ গণ আমাদের বসত বাড়ির সীমানায় বে আইনী অনুপ্রবেশ পূর্বক আমাদের গোয়াল ঘর ও গোড়া ঘর ভাংচুর পূর্বক আমার পিতার পশ্চিম দুয়ারী শয়ন ঘরে অনুপ্রবেশ পূর্বক প্রয়োজনীয় আসবাব পত্র খাট চৌক বাক্স বিছানা পত্র ভাংচুর সহ প্রায় এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার ক্ষতি সাধণ করে। স্বাক্ষী গণের আত্ব – চিৎকারে প্রতিপক্ষ গণ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে এবং অপুরনীয় ক্ষতি সাধনের পরিকল্পনায় পরের দিন গত ২৭/০৫/ ২০২৩ ইং তারিখ ভোর অনুমানিক ৪ ঘটিকা নাগাদ বসত বাড়ী সহ গোয়ালে রক্ষিত গরু বাছুর পুড়িয়া মারার কুঅভিপ্রায়ে গোয়াল ঘরের সংযুক্ত খড়ের পালায় ১-৩ নং প্রতিপক্ষ গণ অন্যান্য প্রতিপক্ষের সহযোগীতায় অগ্নি সংযোগ করে। ফজরের নামাজ পড়ার জন্য আগত ০২ জন মুসাল্লি চিৎকার করিয়া অগ্নি সংযোগের বিষয়ে প্রচার করিলে ঘুম থেকে জাগা পাইয়া আগুন নিভানোর চেষ্টা করা হয়। প্রতিপক্ষ গণকে স্বাক্ষীগণ পালাইয়া যাইতে দেখিয়াছে। বিচারামলে সাক্ষীগণ ঘটনা প্রমাণক রিবে। সাক্ষী -১ মোঃ ছয়ফুল ইসলাম (৩৮), ২। মোঃ শরিফুল ইসলাম (৩৫) উভয় পিতা আঃ মান্নান,৩। মোঃ আঃ হালিম (৫২), পিতা – মৃত নসির সরদার, ৪। মোঃ তারা মিয়া (৩৩) তিপা – মৃত লাল মিয়া, সর্ব সাং কুমিড়াডাঙ্গা সহ আরও অনেকে ঘটনা দেখিয়াছে ও শুনিয়াছে তদন্তে, সাক্ষ্য দিয়া ঘটনার সত্যতা প্রমাণ করিবে। উক্ত ঘটনার বিষয়ে আপোষ মীমাংসার চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হইয়া থানায় আসিয়া অত্র অভিযোগ করিতে কিছুটা বিলম্ব হইল।
বিধায় প্রার্থনা, উপরোক্ত বিষয়টি আপনার তদন্তামলে গ্রহণ পূর্বক প্রতিপক্ষ গণের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মর্জি হয়।
বিনীত নিবেদক মোঃ লিটন মিয়া।