শাহ আলম,ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ):
ঈশ্বরগঞ্জের ৩নং সরিষা ইউনিয়ন খানপুর গ্রামের পুরাতন বাড়ির মো. নুরুল হকের বসতঘরে ভয়াবহ লেলিহানশিখার আগুনে পুড়ে মো.জুয়েল মিয়া (৩৫) এর সাত বছরের ছেলে শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৯ মার্চ ) দিবাগত রাত আনুমানিক ১১ টার
দিকে সরিষা ইউনিয়ন খানপুর মো. একরাম হোসেন ভূঁইয়া ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশে মো.নুরুল হকের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, খানপুর গ্রামের মৃত আব্দুল্লাহ মুন্সি (৫০) গোয়ালঘরে গরু-ছাগল কে যাতে মশা-মাছি না ধরে সেই জন্য গোবরের মুটিয়া দিয়ে আগুনের ধোঁয়া দিয়েছিলো সেই ধোঁয়ার আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার মুহুর্তের মধ্যে দ্রুত পাশের ঘরের মো.নুরুল হকের বসতঘরে আগুন ধরে বসতঘরের সবদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
জুয়েল মিয়া ও তার স্ত্রী হঠাৎ মানুষের হোইচোই
মাধ্যমে বুঝতে পারেন পাশের ঘরের মো.নুরুল হকের বসতঘরের আগুন লেগেছে তখন জুয়েল মিয়া তার স্ত্রী সন্তান কে নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে নুরুল হকের বসতঘরের আগুন নিভাতে দ্রুত ছুটে যান এবং আগুন নিভাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
আগুনের লেলিহানশিখা দাউদাউ করে জ্বল ছিলো এমন সময় জুয়েল মিয়ার ছেলে আল আমিন বসতঘরের ভিতরে কখন যে ঢুকে পরে যা এখানে উপস্থিত কারো নজরে পড়ে নাই। এই দাউদাউ করে জ্বলা লেলিহানশিখার আগুনে পুড়ে শরীরের ৭০ ভাগ পুড়ে ছাই হয়ে যায় জুয়েল মিয়ার সাত বছরের ছেলে আল আমিনের।
জুয়েল জানান, আগুন লাগার প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে খোঁজ নিয়ে দেখেন, শিশু আল-আমীন নিখোঁজ। অনেক খুঁজেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এই মুহূর্তে আগুনের ভয়ে ঘরেও খোঁজ করা যাচ্ছিল না। প্রায় দুই ঘণ্টা পর আগুন নিভে গেলে দেখা যায়, আগুন লাগা ঘরের সব কিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ওই সময় ঘরের ভেতরে আগুনে পোড়া বিচানার চৌকির নিচে দেখা যায়, ছেলে আল-আমীন পুড়ে তার মৃতদেহ পরে আছে। তার সঙ্গে পাশের গোয়ালঘরের ২টি গরু ৩টি ছাগল ১ টি গোয়ালঘরসহ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
সরিষা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. একরাম হোসেন ভূঁইয়া জানান, গত রাত ১১ টার দিকে হঠাৎ করেই দিনমজুর মো. নুরুল হকের বসতঘরে আগুন ধরে যায়। মুহুর্তে তা ছড়িয়ে পড়ে অন্য আরও তিনটি ঘরে। আগুনের খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে কিন্তু ততক্ষণে আগুনে পুড়ে মারা যায় ৭ বছরের শিশু আল আমিন।