1. clients@www.dainikbangladesh71sangbad.com : DainikBangladesh71Sangbad :
  2. frilixgroup@gmail.com : Frilix Group : Frilix Group
  3. kaziaslam1990@gmail.com : Kazi Aslam : Kazi Aslam
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৮:৪০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
জরুরী নিয়োগ চলছে জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। সাংবাদিকতা সবার স্বপ্ন, আর সেই স্বপ্ন পূরণ করতে আপনাদেরকে সুযোগ করে দিচ্ছে দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ দেখিয়ে দিন সাহসীকতার পরিচয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সাংবাদিকতার বিকল্প নেই। আপনার আশপাশের ঘটনা তুলে দরুন সবার সামনে।হয়ে উঠুন আপনিও সৎ, সাহসী সাংবাদিক। দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ পোর্টাল নিয়োগ এর নিদের্শনাবলী: ১/জীবন বৃত্তান্ত ( cv) ২/জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি। ৩/সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি ১কপি। ৪/সর্বনিম্ন এইচএসসি পাস/সমমান পাস হতে হবে। ৫/বিভিন্ন নেশা মুক্ত হতে হবে। ৬/নতুনদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ৭/স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। ৮/স্মার্টফোন ব্যবহারে পারদর্শী হতে হবে। ৯/দ্রুত মোবাইলে টাইপ করার দক্ষতা থাকতে হবে। ১০/বিভিন্ন স্থানে ভ্রমন এর মানসিকতা থাকতে হবে। ১১/সৎ ও পরিশ্রমী হতে হবে। ১২/অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। ১৩/নারী-পুরুষ আবেদন করতে পারবেন। ১৪/রক্তের গ্রুপ যুক্ত করবেন। ১৫/স্থানীয় দের সাথে পরিচয় লাভ করতে হবে। ১৬/উপস্থিত বুদ্ধি, সঠিক বাংলা বানান, ও শুদ্ধ বাংলায় পারদর্শী হতে হবে। ১৭/ পরিশ্রমী হতে হবে যোগাযোগের জন্য ইনবক্সে মেসেজ করুন cv abuyousufm52@gmail.com দৈনিক বাংলাদেশ ৭১সংবাদ মোবাইল নং(01715038718)

একটি খুঁড়ুলে পেঁচা তার পুরো জীবনে ৩৬ কোটি ৫ লক্ষ টাকার ফসল রক্ষা করে।

Reporter Name
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৯৯৯ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:মোঃবাছেদ হোসেন শান্ত।

বগুড়ার বন্য প্রাণী প্রেমিক মোঃ মামুন উল হাসান শাওন এবার তুলে ধরলেন একটি খুঁড়ুলে পেঁচার জীবন কাহিনি।

#খুঁড়ুলে_পেঁচা, #খোঁড়লে_পেঁচা, #কোটরে_পেঁচা :
বৈজ্ঞানিক নাম : Athene brama. ইংরেজি: Spotted Owlet, বা স্ট্রিগিডি (Strigidae) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত ক্ষুদ্রকায় এক প্রজাতির পেঁচা। খুঁড়ুলে পেঁচার আবাস মূলত এশিয়ার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও লাওস। ইরানের দক্ষিণাঞ্চলেও এদের দেখা যায়। এ প্রজাতিটি শ্রীলঙ্কায় নেই, তবে পক প্রণালীর আশেপাশে শ্রীলঙ্কার উপকূলে এদের দেখা যায়।
#বৈশিষ্ট্য_বাসস্থান_এবং_আচরণ:
বেশ নাদুস-নুদুস দেখতে এই ছোট পেঁচার চোখের চারিদিক ও গলা সাদা। চোখের তারা ফ্যাকাশে থেকে সোনালি হলুদ। শরীরের তুলনায় মুখ ছোট। পিঠের দিক গাঢ় বাদামী, তার উপর সাদা ফোঁটা থাকে। মাথার উপরের ফোঁটাগুলো ছোট আকারের। সাদাটে পেটের দিকে আনুভূমিক বাদামী রেখা দেখা যায়। বাদামী লেজে চিকন সাদা বলয়। ঠোঁট সবুজ, পা ও পায়ের পাতা অনুজ্জ্বল হলদে-সবুজ। স্ত্রী ও পুরুষ দেখতে অভিন্ন। দৈর্ঘ্যে কমবেশি ২৩ সেন্টিমিটার।
জোড়ায় জোড়ায় থাকে এবং এক জোড়া একই জায়গায় থাকতে পছন্দ করে। মাঝে মাঝে পারিবারিক দলেও থাকে। সন্ধ্যায় এবং খুব ভোরে এরা বেশি কর্মচঞ্চল। খুঁড়ুলে পেঁচা নিশাচর। রাতভর শিকার করে। প্রত্যেকটি জোড়ার নির্দিষ্ট সীমানার পরিচিত গাছের ফোকর, বড় ডালের গোড়ার আবডাল, অব্যবহৃত বাড়িঘর, দালান-কোঠার ফাঁক-ফোকরে দিন কাটায়। সাধারণত গাছের কোটরে বা খোঁড়লে এরা বাসা করে বলেই এদের এমন নাম, তবে দালান-কোঠার ফাঁক-ফোকরেও বাসা করতে দেখা যায়। মানব বসতি বা কৃষিভূমির আশেপাশে এদের সাধারণ আবাস, শহরেও এরা নিজেদের রপ্ত করে নিয়েছে। দিনে দু’-একবার রোদ পোহায় ও শত্রু পর্যবেক্ষণ করে। বাদলা দিনের সকালে বা বিকালে খাবার ধরার জন্য বের হতে পারে। এরা দিনের প্রহরে দু’-একবার ডাকলেও রাতের প্রায় সব প্রহরেই ডাকে এবং অনেকসময় অন্য পাখিদের সাথেও যোগ দিয়ে ডাকতে পারে। দিনের বেলায় এ পেঁচার দর্শন পেলে ওদের দিকে তাকিয়ে মাথা উঁচু-নিচু করলে ওরাও সুন্দর ভঙ্গিতে ওদের মাথা উঁচু-নিচু করে।
এদের প্রজনন মৌসুম নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত। প্রজনন মৌসুমে ছোট মাথা এবং চকচকে লেজ দেখে স্ত্রী পেঁচাকে চেনা যায়। এদের বাসা বাঁধার উপাদানগুলোর মধ্যে থাকে শুকনো পাতা, পালক ও খড়কুটো। একসঙ্গে তিন থেকে চারটি ডিম দেয় কোটরে পেঁচা। গোলাকার ডিমগুলো হয় সাদা রঙের। ২৫ দিনে ডিম ফোটে। ৩০ দিনে ছানাদের গায়ে পালক গজায়।
#খাদ্যভ্যাস :
খুঁড়ুলে পেঁচা মাংসাশী শিকারী পাখি। ইঁদুর আর ছুঁচো এদের প্রধান শিকার। এছাড়া খাদ্য তালিকায় আছে উড়ন্ত পোকা, টিকটিকি, বাদুড়, ছোট পাখি ও ছোট স্তন্যপায়ী। এরা মূলত ঠোঁট দিয়ে শিকার করে, ঠোঁট দিয়ে শিকারের ঘাড় ভেঙে দেয়। নখ মৃত শিকার ধরার কাজে ব্যবহার করে। পুরো শিকার একবারে গিলে খায়। শিকারের হজম না হওয়া অংশ, যেমন হাড় ও লোম এরা দলা আকারে উগরে দেয়, ইংরেজিতে একে পেলেট বলে।
#প্রধান_হুমকি:
এরা বিশেষক্ষেত্রে রাতে ইঁদুরের খোঁজে ফল বাগনের আশেপাশে বিচরণ করে। আমরা প্রায়ই দেখি ফল বাগানের মালিকগণ তাদের ফল বাগানকে রক্ষা করার জন্য বাগানের চারদিকে অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে ঢেঁকে দেয়। যখন এরা ইঁদুর ধরতে যায় তখন এরা ঐসব জালে আটকা পড়ে নির্মমভাবে মারা পড়ে।
আবার অনেকক্ষেত্রে গ্রামাঞ্চলের লোকজন পেঁচার ডাক শুনলে মৃত্যু হয় বা এরা অশুভ আত্মার বাহক এমন কুসংস্কার এর ফলে এদের হত্যা করে।
এছাড়াও ভারতীয় উপমহাদেশে একসময় বিশ্বাস করা হতো, পেঁচার ঔষধি গুণ আছে। আর তাই পেঁচার হাড়-মাংস-রক্ত দিয়ে তৈরি করা হতো রাতকানাসহ বিভিন্ন রোগের ওষুধ। এ ক্ষেত্রেও এদের হত্যা করা হতো।
বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা কমে গেলেও আশঙ্কাজনক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায় নাই। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. খুঁড়ুলে পেঁচাকে Least Concern বা আশঙ্কাহীন প্রজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
#উপকারীতা :
আমাদের অর্থনীতিতে পেঁচা অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করে। পেঁচাদের প্রধান শিকার ইঁদুর। আর এই ইঁদুর হচ্ছে ফসলের শত্রু। ইসরায়েল, জর্ডান ও প্যালেস্টাইন অঞ্চলে কৃষিজমির আশপাশ দিয়ে পেঁচার জন্য বাসা বানিয়ে রাখা হয়। এক জোড়া পেঁচা বছরে গড়ে দশ হাজার ইঁদুর শিকার করে।
এছাড়াও এরা ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড়ও খেয়ে ফসল ও কৃষকের উপকার করে থাকে।
#একটি_ছোট্ট_অংক :
কৃষিবান্ধব পেঁচা আমাদের কৃষিক্ষেত্রে যে পরিমাণ উপকার করে তা একটি ছোট্ট অংক দিয়ে বুঝাতে চেষ্টা করলাম । আমাদের ফসলের চির শত্রু ইঁদুর। আবার পেঁচার প্রধান খাদ্যও ইঁদুর। নিশাচর পেঁচার মতো ইঁদুরও রাতে বের হয়। যেখানে ইঁদুরের আনাগোনা বেশি থাকে সেখানে পেঁচারও আনাগোনা।
একটি ছোট আকারের পেঁচা প্রতিরাতে কমপক্ষে একটি ইঁদুর খায়,
একটি ইঁদুর বছরে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকার শস্য ধ্বংস করে থাকে। তা হলে একটি পেঁচা প্রতিবছর ১০ হাজার x ৩৬৫ = ৩,৬৫০,০০০(৩৬ লাখ ৫০ হাজার) টাকার রক্ষা করে।
একটি পেঁচা গড়ে ১০ বছর বাঁচে তাহলে সে ফসল রক্ষা করে ৩,৬৫০,০০০ টাকা x১০ বছর = ৩৬,৫০০,০০০ (৩৬ কোটি ৫ লক্ষ) টাকার ফসল রক্ষা করে।
© মোঃ মামুন উল হাসান শাওন
নির্বাহী পরিচালক
সাস্টেইনেবল এনভায়রনমেন্টাল ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (এসইডিবি)
শৈলী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা।
১৮ ফেব্রুয়ারী-২০২১ ইং
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2020 DainikBangladesh71Sangbad
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )