সাজ্জাদ মাহমুদ সুইট
রাজশাহী জেলা ব্যুরো।
করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে সারা দেশব্যাপী। কঠোর লকডাউন এর ঘষোনা দিয়েছে সরকার, তার উপর আবার রমজান মাস। সব মিলিয়ে কঠিন দূর্ভোগে আছে জনসাধারণ। এই কঠিন অবস্থার বাইরে নেই রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সাধারণ মানুষ।
উপজেলার অধিকাংশ মানুষ স্বল্প -আয়ের, তাও এখন বন্ধের পথে লকডাউনে।সেবা করার শপথ করে জনগণের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন জন প্রতিনিধি পদপ্রত্যাশীরা। কথা দেন সুখে-দুঃখে পাশে থাকবেন তাদের। নির্বাচিত না হতে পারলে ও জনগণের সেবা করে যাবেন বলেও অনেকে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। কথায় আর কাজে নেই কোন মিল।এক রকম গা-ঢাকা দিয়েছেন তারা। করোনার মহাদুর্যোগে তাদের দেখা পাচ্ছেন না জনগণ।
চলমান সর্বাত্মক লকডাউনে সিংহভাগ নিম্ন আয়ের মানুষের রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। কাজ নেই, খাবার নেই, ঘরবন্দি সবাই। এতোসব নেই এর সুরাহা দিতে এখন আর কেউ জনগণের দরজায় কড়া নাড়ছেন না। চরম বিপাকে পড়া মানুষগুলো এখন জনপ্রতিনিধি পদপ্রত্যাশীদের দেখা না পেয়ে চরম ক্ষুব্ধ। এভাবে জনগণকে বিপদে রেখে নিজেদের প্রাণ ও অর্থ বাঁচাতে আত্মগোপনে থাকায় জনপ্রতিনিধি পদ প্রত্যাশীদের নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ঝাড়ছেন জনগণ এবং প্রার্থীদের সমর্থকরাও। নির্বাচনে প্রচারণায় প্রার্থীরা লাখ লাখ টাকা পানির মতো খরচ করলেও এখনো পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউনের কঠিন সময়ে কোনো চেয়ারম্যান, মেম্বার বা সংরক্ষিত সাধারণ সদস্য প্রার্থীরা, দলের নাম ব্যবহার করে অনেক ধনসম্পদ এর মালিক নেতারা জনগণের পাশে এসে এক ছটাক চাল নিয়ে দাঁড়িয়েছে এমন খবর শোনা যায়নি।
এদিকে চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বৃদ্ধি করায় উপজেলার নিম্নআয়ের মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
বেশ কিছু ভোটার বলেন, নির্বাচনের প্রচারণার সময় অনেকেই তাদের কাছে ভোট চাইতে আসেন ও অনেক বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেন । এখন আর কেউ খোঁজ নিতে আসছেন না।
ভ্যান চালক ও পথচারীরা জানান, কিছু লোক আসছে মাস্ক পরিয়ে দিচ্ছে- ছবি তুলে চলে যাচ্ছে। আমাদের আগে খাবার লাগবে,খাবার খেয়ে বাঁচলে তারপর না মাস্ক পরবো!
উপজেলার একজন ব্যবসায়ী (তথ্য গোপন) জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান বা মেম্বার খোঁজ নেন না। আমরা কেমন আছি এ করোনার মধ্যে, খেয়ে আছি নাকি না খেয়ে আছি। যখন ভোট আসে তখন এই দল- সেই দলের অনেক প্রার্থী ভোট চাইতে আসেন। সাজেন আপনজন।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাজশাহী-৬ আসনের মাননীয় সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম এমপি সমাজের বিত্তবানদের এই দুর্যোগের মুহূর্তে দুস্থ, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহব্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, জনগনের দুঃসময়ে জন প্রতিনিধিদের তো সবার আগে এগিয়ে আসা উচিৎ , যারা বিভিন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান এখনি প্রকৃত সময় জনগনের পাশে থাকার।
তিনি ক্ষোভ ও দুঃখের সাথে জানান, সবাই তাকিয়ে আছে সরকার ও মাননীয় সাংসদ এর দিকে কখন তারা দিবেন। আর তা দিয়ে নিজেদের নাম ফোটাবেন এই সকল নাম ধারি নেতারা। নিজ উদ্যোগে ও অর্থায়নে একমুঠী চালও বিতরণ করেননি এরা।