মোঃ আনোয়ার হোসেন
ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ

ঝিনাইদহ মর্গ হাউজে দীর্ঘদিন ধরেই মোমবাতি জালিয়ে লাশ কাটাছেড়া করা হতো। উপরে ঘুরতো না কোন সিলিং ফ্যান। পানির ট্যাপেও ছিল সমস্যা। লাশকাটা ঘরের এই বেহাল দশা দেখে বিচলিত হয়ে পড়েন ঝিনাইদহ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডাঃ জাহিদ আহমেদ ও তার স্ত্রী মীর্জা রুনী আইরিন মূর্চ্ছনা।
সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন এই দম্পত্তি। পিতা প্রয়াত ডাঃ নাসির উদ্দীন আহমেদের পথ অনুসরণ করে মঙ্গলবার তিনি নিজেই হাজির হন লাশ কাটা ঘরে। সেখানে তিনি নিজের মিস্ত্রি দিয়ে একটা আইপিএস, একটি সিলিং ফ্যান, এগজাস্ট ফ্যান, ৫টি এলইডি লাইট ও স্যানিটারি ফিটিংস সামগ্রী লাগিয়ে দেন। অথচ এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসার কথা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ডাঃ জাহিদ আহমেদ ও তার স্ত্রী মীর্জা রুনী আইরিন মূর্চ্ছনা প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে দান করেন। বিশেষ বিশেষ দিবসে হতদরিদ্র ও গরীব মানুষের মধ্যে খাবার, কম্বল, নগদ অর্থ ও কাপড় বিতরণ করেন। এছাড়া বিভিন্ন গ্রামে মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানা উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছেন।