ধামইরহাট নওগাঁ অফিস।
নওগাঁর ধামইরহাটে পানে বিষ মেশানোর অপবাদ দিয়ে মুদি দোকানদারকে মারধুর করে পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করছে দুর্বৃত্তরা, চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় মুদি পান দোকানে ভাংচুর। এ ঘটনায় বাদী হয়ে গত শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) থানায় অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলার পূর্ব রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত. আব্দুল জব্বার এর ছেলে মো. ছলিম উদ্দিন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বসতবাড়ি সংলগ্ন মুদি ও পান দোকান ব্যবসা করে আসছেন, অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সকাল অনুমানিক ১১ টায় মো. ছলিম উদ্দিন মুদি পান দোকানে থাকা অবস্থায়, বেনেডিক তপ্ন নামের এক ১০ বছর বয়সী ছেলের হাতে পান সিগারেট ও বিস্কুট কেনার জন্য পঞ্চাশ(৫০) টাকা দিয়ে বিবাদী দোকানে পাঠিয়ে দেয় ফিরোজ হোসেন। ১ টি পান, ৮ টি ডার্বি সিগারেট( সম মূল্য পাঁচ টাকা) ও একটি বিস্কুট ক্রয় করে দোকানিকে পঞ্চাশ টাকা (৫০) দিয়ে বেনেডিক তপ্ন তা নিয়ে ১ ম বিবাদী মো. ফিরোজ হোসেনের কাছে পৌঁছে দিয়ে চলে যায়। একই দিন বেলা ১১.৩০ ঘটিকায়, ১ম. বিবাদী মো. ফিরোজ হোসেন (৪২) পিতা. মো. মোজ্জাম্মেল হক, ২য়. বিবাদী মো. ছাইফুল ইসলাম (৩৫) পিতা. মৃত. ইব্রাহিম হোসেন, ৩য়. মো. উজ্জ্বল হোসেন (২৫) পিতা. মো. রবিউল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন সর্ব সাং উপজেলার উত্তর জাহানপুর, ফিরোজ হোসেনের নেতৃত্বে একজোট হয়ে ওই মুদি পান দোকানে এসে পানে বিষ মেশানো অপবাদ দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। দোকানদার গালিগালাজ করতে নিষেধ কলরে, তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে, মারধুর করে, সেই সাথে ফিরোজ হোসেন সকলের সামনে ছলিম উদ্দিনের কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এসময়ে, হৈ চৈ চেঁচামেচি শুনে রক্ষা করতে আসা স্ত্রী মোছা. রত্না পারভিন, পুত্র বধু মোছা. সারমিন আক্তার, বোন মোছা. আনজুয়ারা ও মোছা. মনজুয়ারা কেও ১ম বিবাদীর নির্দেশনায় তাদের উপর হামলা চালিয়ে টানা হেঁচড়া বি বস্ত্র করে। অতঃপর পান দোকানির ছেলে মো. আব্দুর রহমান রনি দুর্বৃত্তদের হামলার দৃশ্য মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করতে চাইলে তাকেও মারপিট করে ও দোকানে জোরপূর্বক প্রবেশ করে দোকানে থাকা এলইডি টিভি ভাংচুর করে এবং আমার দোকানের ক্যাশে থাকা ২০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে নেয়।
এসময়ে চাঁদাবাজ দুর্বৃত্তের হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে ৯৯৯ এ ফোন করলে, ধামইরহাট থানার কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য আসার খবর পেয়ে দুর্বৃত্তরা প্রান নাশের হুমকি ধামকি দিয়ে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। এদিকে বিবাদীগনের হাতে ছিলাফুলা জখম হয়ে ছলিম উদ্দিন ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন,এবিষয়ে, ১ ম, বিবাদীর নির্দেশনায় পান সিগারেট কিনতে আসা বেনেডিক তপ্নের (১০) সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি পান সিগারেট ও বিস্কুট কিনে ফিরোজ হোসেনের কাছে পৌঁছে দিয়ে অন্য জায়গায় চলে যায় এঘটনায় গ্রামবাসী, মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পান দেওয়ার সময়ে আমি ও একসাথে পান খেয়েছি,একই সাথে ছোট ছেলেকে ও পান দিয়েছে।পানে বিষ দিয়েছে কথাটা গুজব। ১নং ধামইরহাট ইউপি সদস্য (৮ নং ওয়ার্ড) মেম্বার মো. জাইবর রহমান বলেন, পানে বিষ মেশানো এ কথা মিথ্যে ভিত্তিহীন। দোকানদার অনেক ভালো মানুষ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মুদি দোকান করছেন। উল্লেখ্য বিবাদীগনেরা অন্যায় ভাবে মারধুর করেছেন। এরা উশৃঙ্খল, এরা বখাটে। এদের থেকে সাবধান থাকতে হবে এ ঘটনায় তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সঠিক বিচারের দাবি করেন, এবিষয়ে ১ম বিবাদী ফিরোজ হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি একটি বাচ্চার কাছে পান নিতে দিয়েছিলাম বাচ্চা পান নিয়ে আসার পরে আমি দেখি পানের মধ্যে বিষ মিশানো আছে দোকানদারকে মারধরের কথা জিজ্ঞেস করলে বলেন মারধর একটু হয়েছে তবে আমি কিছু করি নাই যা করেছে আমার ছেলেপেলেরা তিনি আরো বলেন আমি বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না আমার এলাকার মেম্বার এবং কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিগণ দায়িত্ব নিয়েছে আগামী মঙ্গলবার এ বিষয়টি সমাধান করে দিবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে ধামইরহাট থানার তদন্ত ওসি হাবিব বলেন গত শুক্রবারে এবিষয়ে আব্দুল জব্বার এর ছেলে ছলিমুদ্দীন নামে একজন বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেছে আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং এসআই মোকাররম কে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।