মোঃ সাকিল হোসেন ধামইরহাট নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার ৫নং আড়ানগর ইউনিয়নের বংশিপুর গ্রামে, রাস্তাকে কেন্দ্র করে গ্রামের কিছু প্রতাপশালীর উস্কানিতে রোকসানা বেগম ৪৫ এর বাড়িতে ঢুকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে । এ বিষয়ে থানায় বাদী হয়ে অভিযোগ করেন। বাদিনি মোসাঃরোকসানা বেগম( ৪৫)স্বামী মোফাজ্জল হোসেন সাং বংশীপুর ৫ নং উপজেলার আড়ানগর ইউনিয়নের বংশীপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে রোকসানা বেগম ধামইরহাট থানায় বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন বিবাদী ১। মো:শামসুল ইসলাম( ৩০)পিতা:মো:ইউনুস আলী ২।মো:আনিছ হোসেন (২৪)পিতা মোঃ আব্দুল লতিফ ৩।মো:হেলাল হোসেন(৪২) পিতা আবুল হোসেন ৪।মোঃ আব্দুল লতিফ (৫৫)পিতা মৃত আব্বাস আলী ৫।আব্দুস সামাদ (৫৫)পিতা মৃত মসির উদ্দিন সর্ব সাং বংশিপুর। ৬।মো:আইদুল হোসেন (৩২)পিতা মৃত রইস উদ্দিন ৭।মো:হাফিজুল ইসলাম (২৮)পিতা মোসলেম উদ্দিন উভয় সাং আড়ানগর ৫নং আড়ানগর ইউনিয়ন থানা ধামইরহাট গণের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ৪নং বিবাদী রোকসানা বেগমের বসতবাড়ি সংলগ্ন জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা নিবে এ মর্মে প্রভাব খাটায়। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ এ বিষয়ে আলোচনা করেন বসতবাড়ির প্রাচীন ভাংগিয়া উত্তর পাশ দিয়ে রাস্তার জায়গা দিতে চাইলে। ৪ নং বিবাদী স্বামী সহ রোকসানা বেগমের প্রস্তাবের সম্মত না হইয়া, বাদীনি রোকসানা বেগম বসতবাড়ির খলিয়ানের উপর দিয়ে রাস্তা নেওয়ার উদ্দেশ্যে, উল্লেখিত বিবাদীগণের সহযোগিতায় ইং ইং১৯/০৪/২০২৪তারিখ দুপুর উনুমান ২:৩০ঘটিকায়। বিবাদীগণ একই উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা অনুযায়ী বেআইনি জনতার দলবদ্ধ হইয়া হাতে লাঠি লোহার রড শাবল ধারালো হাসোয়া কোদালসহ দেশীয় মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে আমার বসতবাড়ি খলিয়ানে আসিয়া চুলা ভাঙচুর করে এবং আমার বসতবাড়ির বারান্দার ছাউনির টিন জোরপূর্বক নামাইয়া ভাঙচুর করে। ঐ সময় আমার স্বামী মোঃ মোফাজ্জল হোসেন বিবাদীদের অন্যায় কাজে বাধা নিষেধ করিলে ১ নং বিবাদী হত্যার উদ্দেশ্যে তার হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দ্বারা আমার স্বামীর মাথায় স্বজোরে কোপ মারে বিবাদীর রক্তরূপের আঘাতে আমার স্বামী গুরুতর যখন প্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটেপু পড়ে। আমি যখনই স্বামীকে বিবাদীর কবুল হইতে উদ্ধারের চেষ্টা করি। ২ং বিবাদী আমার পরনের কাপড় ধরিয়া টানা হিসরা করে মাটিতে ফেলাইয়া শ্রীলতাহানি ঘটাই এবং ৪ নং বিবাদী আমার গলা চেপে ধরে শ্বাস রোদে হত্যার চেষ্টা করে।ধস্তাধস্তি করে আমি বিবাদীর কবল হইতে প্রাণের রক্ষা পাই। অতঃপর ৩ নং বিবাদী হাতের লাঠি নিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি শিলাফুলা যক্ষম প্রাপ্ত করে অতঃপর আমার দেবর মোহম্মদ তোফাজ্জল হোসেন আগাইয়া আসলে ৪ নং বিবাদী তোফাজ্জল হোসেন কে খুন যখম করা উদ্দেশ্যে তার হাতে থাকা হাসুয়া নিয়ে আগাইয়া আসলে, তোফাজ্জল হোসেন জীবনের ভয়ে নিজ বাড়ি প্রবেশ করিলে বিবাদী হেলাল, হোসেন, হাফিজুল, আইদুল, শামসুল, সামাদ, সস্ত্র অবস্থায় তোফাজ্জলের বসতবাড়িতে প্রবেশ করত বাড়ির ভিতরে ঢুকে চুলা খড়ের চাল ভাঙচুর করিতে থাকে। তোফাজ্জল হোসেন বিবাদী এহেন কমান্ডো পুরীতে নিষেধ করিলে বিবাদী হাফিজুল তোফাজ্জলের মাথায় ধারালো, হাসুয়া দ্বারা স্বজোরে কোপ মারে তোফাজ্জল গুরুতর যখন প্রাপ্ত হইয়া আঙিনায় লুটিয়া পড়ে । আমার ছোট দেবর যখমি কে উদ্ধারের চেষ্টা করিলে, ৫ নং বিবাদী অহেদুল লোহার রড দ্বারা এলোপাতারি ভাবে মারপিট কোরিয়া জখম করে। আমরা যখন প্রাপ্ত হইয়া মাটিতে পড়ে থাকাকালে আমার পশ্চিম ভিটার শয়ন ঘরে ৪ নং বিবাদী প্রবেশ করিয়া আমাদের জমির দলিল দোস্ত তাবিজ তোষকের নিচ হইতে বের করিয়া ছিড়ে ফেলে, ট্যাংকে রক্ষিত ১ ভরি ৩ আনা স্বর্ণালংকার সহ ইট ক্রয়ের জন্য নগদ রক্ষিত ১৫০০০০(এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার) ক্ষতি সাধন করে। স্থানীয়দের সহায়তায় যখমিদেরকে নিয়ে জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করি বলে জানিয়েছেন তিনি এ বিষয়ে ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বাহাবদ্দিন ফারুকী এ বিষয়ে আমরা একটি
বলেন অভিযোগ পেয়েছি অভিযোগটি তদন্ত চলছে তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।