ওসমান গনি
স্টাফ রিপোর্টার
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়নে গত প্রায় এক মাস ধরে মন্দির ও মসজিদের বাথরুম সহ বিভিন্ন স্থানে পবিত্র কোরআন শরিফ রেখে অবমাননার ঘটনায় এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে মুন্সীগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, গত প্রায় ১ মাস ধরে শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া এলাকায় বিভিন্ন মসজিদের বাথরুম ও মন্দিরে পবিত্র কোরআন শরিফ রেখে সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করে একটি চক্র। চক্রটি গত ১৭ জানুয়ারী প্রথম পশ্চিম বাঘড়ার একটি মসজিদের বাথরুমে পবিত্র কোরআন শরীফ ফেলে রাখে। এরপর থেকে রস্তা,নর্দমা সহ বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই কোরআন শরীফের ছেড়া অংশ পাওয়া যায়। এই ঘটনা চলতে থাকে টানা ১০ দিন পর্যন্ত।মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষন করেন। গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজবংশী পাড়ার মনসা মন্দিরের ঘটের উপরে একটি কোরআন শরীফ খুলে রেখে দেওয়া হয়। সকালে মন্দিরে পূজা দিতে গেলে বিষয়টি চোখে পড়ে। গত ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি একই রকম ভাবে দুটি মসজিদের প্রসাবখানায় কোরআন শরিফ রেখে দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বাঘড়া মিয়া বাড়ী জামে মসজিদের প্রসাবখানায় কোরআন শরিফের কয়েকটি পাতা ছিড়ে রাখার সময় সাব্বির (২২)কে ওই এলাকার আরমান(১০) ও সামিউল (১০)নামে দুই শিশু তাকে দেখে ফেলে। এ সময় তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সাব্বির দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে তাকে বাঘড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।পুলিশেল জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, সাব্বির ও আজ্ঞাত নামা আরো ২/৩জন মিলে এই কদিন ধরে ধর্মীয় উস্কানি দিতে লাগাতার ভাবে কোরআন শরিফ অবমাননা করে গেছে।দিনমজুর সাব্বির বাঘড়া এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে। শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে অজ্ঞাতনামাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।