“আমার রক্তে যদি বাঁচে অন্যের প্রাণ
তাহলে কেনো করবো না স্বেচ্ছায় রক্তদান”।
এই স্লোগানকে সামনে রেখে সুজানগর ব্লাড ডোনার ক্লাব পাবনার দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’কে স্মরণীয় করতে ২০২৩ এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন সম্পন্ন হলো সুজানগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, আমির রোকেয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সুজানগর ব্লাড ডোনার ক্লাব, পাবনার উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সার্জেন্ট অফিসার ওমায়ের সাদাত বিপুল সাহেব।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন চৌকস,সু-দক্ষ্য,স্মার্ট আধুনিকতার ছোঁয়ায় পরিপূর্ণ সুজানগর উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব রাফিউল ইসলাম স্যার।
উক্ত অনুষ্ঠানে সুজানগর ব্লাড ডোনার ক্লাব পাবনা এর উপদেষ্টা ডাক্তার আব্দুল আওয়াল, ডাক্তার কামরুল হাসান, ডাক্তার নুরুল ইসলাম, ডাক্তার শরিফুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক, সাতবাড়িয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল বাসেত, সুজানগর মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী মন্ডল, মহিলা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক জহুর আহমেদ সরকার, সুজানগর ব্লাড ডোনার ক্লাব পাবনা এর সকল সদস্যবৃন্দ।এছাড়াও যায়যায়দিন পত্রিকার সুজানগর উপজেলা প্রতিনিধি জনাব রিপন আহমেদ। এছাড়াও দৈনিক আলোকিত সকাল পত্রিকার সুজানগর উপজেলা প্রতিনিধি জনাব মাসুদুর রহমান সহ বিভিন্ন স্থান হতে ছুটে আসা স্বনামধন্য আমন্ত্রিত ব্যক্তিবর্গ। এছাড়াও সুজানগর ব্লাড ডোনার ক্লাব এর সম্মানিত সদস্যবৃন্দ ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতিমান শিক্ষার্থীরা।
উক্ত আয়োজনে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ সুজানগর ব্লাড ডোনার ক্লাব, পাবনা’র এমন নিঃস্বার্থ কাজের প্রতি ভূয়সী প্রশংসা করেন। উপস্থিত অতিথিবৃন্দ তাঁদের কাজের এই অগ্রধারা নিরন্তর এগিয়ে চলার জন্য উপদেশ ও ভরসা প্রদান করেন।এবং বক্তব্যে আগত সম্মানিত অতিথিবৃন্দ বলেন এমন সংগঠনে উপস্থিত হতে পেরে নিজেকে ধন্য ও কৃতজ্ঞ মনে করছি।শুধু সুজানগর ব্লাড ডোনার ক্লাব, পাবনা না সমগ্র পৃথিবীতে এই স্বেচ্ছায় রক্তদানের ধারা অব্যহত ও চলমান রাখা দরকার।প্রতি সেকেন্ড পৃথিবীতে ২ জন মানুষের মৃত্যু হয় কিন্তু বেশির মৃত্যুর কারণ রক্তস্বল্পতার কারণে। বাংলাদেশ কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সভাপতি বলেন, আমাদের দেশে গড়ে বাৎসরিক ৩ লক্ষ ব্যাগের রক্তের প্রয়োজন যোগান দিতে পারে ।আমরা ১লক্ষ ব্যাগের যোগান দিতে পারি এবং সন্ধানী ও রেড ক্রিসেন্ট ১.৫ লক্ষ ব্যাগের যোগান দিতে পারে। বাদ বাকি ৫০-৫৫ হাজার মানুষ রক্তের অভাবে মারা যায়। পৃথিবীতে সর্বোচ্চ রক্তদাতা হিসেবে গিনেসরেকর্ড এ নাম লেখান অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক জোসেফ হেরিসন যে কি না ১০০০ বার রক্ত দান করে ১০০০ মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। তাঁর মতো আমাদের ও স্বেচ্ছায় রক্তদানে আমাদের ও এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
উক্ত অনুষ্ঠানে এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য সবাই নিরন্তর শুভকামনা ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।