জয়পুরহাট প্রতিনিধি৷ ৯ আগস্ট/
চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও বহু অপকর্মের হোতা ময়েন উদ্দীন ওরফে সবুজ আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। একের পর এক অপকর্ম করে পার পেয়ে যাওয়া অর্ধ্ব ডজন মামলার এ আসামি বর্তমানে মসলেমঞ্জ এলাকার মুর্তিমান আংতকে পরিনত হয়েছে। তার নানামুখী অপতৎপরতায় এলাকার সাধারন ও নিরীহ মানুষ রীতিমত সন্ত্রস্থ হয়ে উঠেছে৷
স্থানীয়রা তার বিরুদ্ধে “টু” শব্দটি করার সাহস ও শক্তি পর্যন্ত হারিয়েছে। কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়ন মসলেমগজ ও বিভিন্ন অংশ ঘুরে ভুক্তোভোগী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এমন তথ্য মিলেছে।
মাত্র ৩৯ বছর বয়সে পর পর দুটি মামলায় পুলিশের খাতায় প্রথম নাম লেখানো ময়েন ওরফে সবুজ (৩৫) মান্দাই গ্রামের আলী আফসারের ছেলে। সে একাধিকবার গ্রেফতার সত্ত্বেও বার বার জামিনে এসে একাধারে পুরানো অপকর্ম অব্যাহত রাখায় বর্তমানে স্থানীয়রা তার অপরাধমুলক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে ময়েন ওরফে সবুজ ও তার সহযোগী তারিকুল গোটা এলাকাজুড়ে একটি আতংকের নাম। মাদক সেবন ও ব্যবসা, ডাকাতি ছিনতাই, লুটতরাজ চালানো তার নিত্যকার কাজ। গত এক যুগের বেশী সময় ধরে শত শত এমন ঘটনা ঘটালেও প্রভাব প্রতিপত্তির কারণে গোপনে কিছু সাধারন ডায়েরী হলেও মাত্র ছয়টি ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগ পেয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনি৷
সবুজের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বানীয়রা নাম প্রকাশ না করার প্রতিশ্রুতি আদায় করে আকলাপাড়া গ্রামের এক যুবক জানায়, তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলবে না। মুখ খুললে তার কপালে খারাপ কিছু আছে। ঐ যুবক আরও জানায় সবুজ ও তার সহ যোগী স্বাবেক ইউনস মেম্বারের ছেলে তারিকুল ‘গাজা টেম্পা ডল বাবা’ খায়, ব্যবসা করে যদিও এলাকার একজন দাপুটে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে গোটা উদয়পুর জুরে তারিকুল ও সবুজের ব্যাপক নাম-ডাক রয়েছে বলে তিনি জানান।
পাশে দাড়ানো আজিজুল নামের এক ব্যক্তি জানায় ময়েন ও তারিকুল তার সহযোগীদের মাধ্যমে গোবিন্দগঞ্জ পানাইল উদয়পুর আশপাশের এলাকায় ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। চুরির দায়ে স্থানীয়দের হাতে কয়েক বার আটক হয় বলে জানান মান্দাই গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও রাব্বীউল৷
জানা গেছে একের পর এক অপকর্ম ও ডাকাতী কর্মকান্ডের কারণে (মামলা নং-০৯), ২০১৯(মামলা নং ০৩) ও ২০১৮ সালে (মামলা নং ১৩) আরও তিনটি মামলা হয় দুর্ধর্ষ্য ময়েন ওরফে সবুজের বিরুদ্ধে। নানা অভিযোগে দায়ের করা এসব মামলায় ছয় বার কারাগারে গেলেও কখনও তাকে দমানো যায়নি। বরং প্রতিবারই জেল থেকে বের হয়ে এসে সবুজ আরও বেপরোয়া আচারণ শুরু করে প্রতিপক্ষের নানাভাবে ক্ষয়ক্ষতি ও হয়রানী করে। ফলে তার অত্যাচার নির্যাতন থেকে দুরে থাকত বর্তমানে অনেকেই সবুজ বা তার বাহিনীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করা দুরে থাক, ‘উহফ’ শব্দটি পর্যন্ত করতে সাহস পায় না।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উদয়পুর ইউনিয়ন চেয়াম্যন ওয়াজেদ আলী দাদা বলেন ময়েন দির্ঘ দিন থেকে মাদকসহ বিভিন্ন অপর্কমের সংঙ্গে জরিত কয়েক বার মসলেমঞ্জ বাজারে জনতার হাতে আটক হয়েছিলো বার বার
জেল থেকে বরে হয়ে পূর্বের পেশায় যুক্ত হয়৷ জুয়া,চোরাচালান, মাদক ব্যবসা চুরি, সামাজিক অবক্ষয়, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই উক্ত এলাকার সকল অনিয়ম ও অনৈতিক কর্মকান্ড প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।