জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাট কালাইয়ে আমন ধানে সার দিয়া কে কেন্দ্র করে দেশি অস্ত্র হাঁসুয়া লাঠি নিয়ে প্রতিপক্ষের আঘাতে ২ নারীসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের গুরুতর অবস্থায় ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
২৮ জুলাই বুধবার বিকালে উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের বাসুড়া গ্রামের পাশ্ববর্তী জামুড়া মাঠে ধান ক্ষেতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দা সুত্রে সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়ন বাসুড়া গ্রামের বনজের শেখ এর রেকর্ডভুক্ত কোট হইতে ডিগ্রিপ্রাপ্ত ২৮ শতক ধানি জমি জমিতে আপন ধানে সার ছিটান বনজের শেখের নাতী সুজাউল ইসলাম সিজা।
এসময় ওঁৎ পেতে থাকা জামুড়া গ্রামের মৃতঃ রহিম কাজীর ছেলে ১। সবুর কাজী (৩২) ২। আঃ হামিদ কাজী (৪০) ৩। ওহেদ কাজী (৩৫) উভয়ের সাং জামুড়া থানা কালাই, জেলা জয়পুরহাট। লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্যরা আকস্মিক হাসুয়া, তীর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালায় তাদের উপর। এতে প্রতিপক্ষের আঘাতে ২জন নারী সহ ৪ জন আহত হন।
আহতরা হলেন, বাসুড়া গ্রামের ১।বনজের শেখ(৬০) পিতা মৃতঃ মোনজের শেখ ২। সুখিমন বিবি (৩৪) পিতা মোঃ বনজের শেখ ৩। সুজাউল ইসলাম সিজা (৩০) পিতা মোন্তাজ ৪। আফরোজা বেগম (২৬) স্বামী সুজাউল ইসলাম সিজা উভয়ের সাং বাসুড়া ইউনিয়ন উদয়পুর, থানা কালাই জেলা জয়পুরহাট। সবাই কে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মৃত রহিম কাজীর ৩ ছেলে সবুর কাজী ওহেদ কাজী ও আঃ হামিদ কাজী কে জিজ্ঞেস করলে তাহারা বলেন আমাদের জমিতে ওরা সার দিতে গেলে কথা কাটাকাটি একপর্যায়ে ঠেলাঠেলি হয়।
জামুড়া গ্রামের গভীর নলকূপের মালিকানা আঃ হান্নান বলেন ঐ জমিতে বনজের শেখ এর আগেও ফসল উৎপাদন করেছে প্রায় সময় অভিযুক্তরা তাদের সাথে মারামারি ঝামেলা করেন অভিযুক্তরা হলো মানুষের সাথে মারপিট সহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত।
ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ ইশরাট জাহান ইভা জানান, প্রত্যেককেই প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। অবস্থা অনেকটাই ভালো সবাই হাসপাতালে ভর্তি আছেন সখিমন বিবির কপালে চারটি সেলাই দেওয়া আছে।
কালাই থানার অফিসার ইন চার্জ সেলিম মালিক বলেন এ ঘটনায় আমি এখন পর্যন্ত কিছুই জানিনা তবে ডিউটি অফিসার বা তদন্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলেন।
কালাই থানার অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই এমরান হোসেন এর সাথে কথা বললে সে বললেন ওনারা অভিযোগ করছিল সেই পেক্ষিতে আমি গেছিলাম তদন্ত শেষে ওসি স্যার কে বললাম ওসি স্যার বললো যে ওরা রিলিজ নেইনি মামলা তো এখনো হয়নি, রিলিজ নিয়ে আসলে থানাতে বসে এটা মামলা হবে কি না সেটা দেখার বিষয় কি রকম আঘাত পাইছে কি রকম জখম আছে দেখার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি।