কাজী সেলিম গাইবান্ধা থেকে:
পলাশবাড়ীতে অসহায় পরিবারকে বিভিন্নভাবে ক্ষয়ক্ষতি, মারপিট ও হুমকি-ধামকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ মার্চ দুপুরে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ১নং কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের গনকপাড়া গ্রামের শফিউল ইসলামের স্ত্রী আঙ্গুরী বেগম তার নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রতিপক্ষ রফিকুল ইসলাম এর অনুসারীদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের জমিজমা বিষয়াদি নিয়া ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল। প্রতিপক্ষগণ এলাকার ভূমি দস্যু ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির। প্রতিপক্ষগণ আমার স্বামীর ভোগ দখলীয় জমিতে থাকা ২ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ইউক্লিপটার্স ও মেহগনি গাছ কর্তন করে। এছাড়াও আমার স্বামী গত ২ ফেব্রুয়ারী সকালে ২ শতাংশ জমি বিক্রয়ের ৪৬ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ীতে আসার পথিমধ্যে গনকপাড়া ব্রীজের কাছে আমার স্বামীকে একা পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, বেদম মারপিট করে উক্ত টাকাসহ একটি আইটেল মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে চলে যাওয়ার সময় আমার স্বামীকে সহ পরিবারের সদস্যদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করিবে বলে বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করেন।
এ বিষয়ে এলাকায় শালিশ দরবার করিলে প্রতিপক্ষগণ টাকা ও মোবাইল ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করে আমাকে টাকা ও মোবাইল ফোন ফেরৎ দেয়নি। উক্ত বিষয় নিয়ে আমি ও আমার স্বামী প্রতিবাদ করিলে প্রতিপক্ষরা আমাকে শারীরিকভাবে মারপিট করিলে আমি পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করি। এ বিষয়ে পলাশবাড়ী থানা সহ বিভিন্ন দপ্তরে তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের ভিত্তিতে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ একাধিকবার তদন্ত করিলেও তাহারা কোন পরোয়া না করে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিয়া জানমালের ক্ষতিসহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিতে থাকে। আমরা অসহায় পরিবার ও তিনটি কন্যা সন্তান হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের ঘরে আমরা বসবাস করি। রাতের আধারে আমাদের বসবাসকৃত ঘরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। বর্তমানে প্রতিপক্ষগণ আমার স্বামীকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি প্রদান করিতেছে। আমি কোন উপায়ান্ত না পেয়ে আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছি।#