মোঃ আশিকুর রহমান
রং-বেরঙের বাহারি সাইনবোর্ড আর প্যাকেজিং এ মিষ্টি তৈরি করা হলেও চিলমারীর হাটবাজারের বিভিন্ন মিষ্টির দোকান গুলোতে ভেজাল ছানা ও সিনথেটিক রং দিয়ে তৈরি হচ্ছে মিষ্টি।
সবচেয়ে খারাপ ভাবে মিষ্টি তৈরি হচ্ছে উপজেলার গ্রামের হাটবাজারে অবস্থিত মিষ্টির দোকান গুলোতে। আর রসগোল্লা, কালোজাম, ,সন্দেশ, রসমালাই এ সমস্ত মিষ্টি তৈরি হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। এতে উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ফরমালিন যুক্ত ভেজালছানা, মিশানো হচ্ছে সিনথেটিক রং।
খাদ্যদ্রব্য ও ফলমুলে ভেজাল বিরোধী অভিযান চালানো হলেও বরাবর আড়ালে থেকে যায় মিষ্টির দোকান ও কারখানা গুলো।
আর এ সমস্ত মিষ্টি তৈরিতে যে ছানা ব্যবহার করা হয় সেগুলো সাধারণত টানা দুধের ছানা। যখন কোনো ছানা মিষ্টির কারখানায় পৌঁছায় তখন এর গুণাগুণ সহ বিভিন্ন রোগ জীবানু বাসা বাঁধে। মিষ্টির কারখানা গুলোতে সোডা ও বরিক পাইডার মিশিয়ে ঘন করা হয় দুধ। স্বাভাবিক নিয়মে ৫-৬ কেজি দুধ থেকে ১ কেজি ছানা তৈরি হয় কিন্তু ভেজাল পদ্ধতিতে ৩-৪ কেজি দুধ থেকে ছানা উৎপাদন করা হচ্ছে এক কেজি পরিমাণ।
এ ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে দুধ ভাল রাখা বা সংরক্ষণের জন্য ফরমালিন ব্যবহার করা হচ্ছে। মাখন বিহীন ছানায় ফ্যাটের পরিমান বাড়াতে ডালডা ও মেশানো হয়। এ ছানা দিয়ে তৈরি হচ্ছে অধিকাংশ মিষ্টি। যে পরিবেশে এ মিষ্টি তৈরি হচ্ছে তাও অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা বলে একাদিক কারিগর জানায়।
কারিগররা জানান, ভেজাল ছানা দিয়ে আগের দিনের অবিক্রিত মিষ্টি মিশিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় মিষ্টির স্বাদ বাড়ানোর জন্য বিস্কুটের গুড়া ব্যবহার করা হয়।