সৈয়দ আলম {টেকনাফ } কক্সবাজার
কক্সবাজার টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন জওয়ানেরা সীমান্ত এলাকা ও চেকপোস্টে পৃথক অভিযান চালিয়ে বিপূল পরিমাণ বিভিন্ন প্রকারের অস্ত্র, গোলা-বারুদ ও মাদকদ্রব্য নিয়ে ২জন রোহিঙ্গাসহ বাস চালককে গ্রেফতার করেছে। এসব অবৈধ দ্রব্য বহনে জড়িত থাকায় কাঠের নৌকা ও যাত্রীবাহী বাস জব্দ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানান, ১২ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মহিউদ্দীন (বিজিবিএমএস),উপ-অধিনায়ক মেজর মোঃ শহীদুল ইসলামসহ অধীনস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এতে জানানো হয়,১২ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টারদিকে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের দমদমিয়া বিওপির আওতাধীন বড়ইতলী বক্করের জোড়া নামক এলাকা দিয়ে মায়ানমার হতে অস্ত্র ও মাদকের চালান আসার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন সদর এবং দমদমিয়া বিওপির পৃথক ২টি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল উক্ত স্থানে গিয়ে কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে কেওড়া বাগানের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর ৪জন ব্যক্তিকে ২টি নৌকাযোগে সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করে বড়ইতলী বক্করের জোড়া নামক এলাকার দিকে আসতে দেখে। উক্ত ২টি নৌকার মধ্যে ১টি নৌকা বক্করের জোড়া খালের ভিতরে প্রবেশ করলে টহলদল উক্ত নৌকায় অবস্থানরত উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৭নং ক্যাম্পের ব্লক-বি/৩ এর বাসিন্দা মোঃ শরীফের পুত্র মোঃ জুবায়ের {৩০} এবং ২নং ক্যাম্পের ব্লক-ডি/৫ এর বাসিন্দা আমির হোসেনের পুত্র মোঃ আনোয়ার {১৯}কে ঘেরাও করে আটক করতে সক্ষম হয়। পেছনে থাকা অপর নৌকাটি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘুরিয়ে মায়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। পরে টহলদল আটক নৌকা তল্লাশি করে ১টি দেশীয় তৈরী ২নলা বন্দুক, ১টি বিদেশী পিস্তল,১টি হাত দা এবং নৌকার পাটাতনের নীচে প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতর হতে ২কেজি ১শ ৪০গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ তথা আইস উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও আটক আসামীদের মধ্যে ১জনের কোমরে পরিহিত বেল্টের সাথে ১টি কাপড়ের ব্যাগ হতে ৮রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ১০রাউন্ড এমজির গুলি, ১১রাউন্ড এসএমজির গুলি, ৮টি বন্দুকের কার্তুজ, ১টি আর্জেস হ্যান্ড গ্রেনেড, ৩টি গুলির খালি খোসা এবং বাংলাদেশী নগদ ১শ টাকা উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে একই দিন সকাল সাড়ে ৯টারসময় হোয়াইক্যং বিওপি চেকপোস্টে দায়িত্বরত টহলদল নিয়মিত যানবাহন তল্লাশীর সময় টেকনাফ হতে কক্সবাজারগামী যাত্রীবাহী সমুদ্রতরী বাস চেকপোস্টে আসলে তল্লাশীর জন্য থামানো হয়। পরে উক্ত বাসে তল্লাশী কার্য্যক্রম শুরু করলে বাসের চালকের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় কর্তব্যরত সৈনিকেরা জিজ্ঞাসাবাদ ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশীর এক পর্যায়ে বাসের চালকের স্বীকারোক্তিতে সীটের নীচে অভিনব পদ্ধতিতে লুকায়িত অবস্থায় ৪হাজার ইয়াবা উদ্ধারের পর চালক কক্সবাজার দক্ষিণ জানারঘোনার আবুল কাশেমের পুত্র ওমর ফারুক {২০} কে আটক করা হয়। আটক আসামী হতে ১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এছাড়া অবৈধভাবে মাদক বহনের দায়ে বাসটি আটক করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়,আটক আসামীদের জব্দকৃত আইস, ইয়াবা, অস্ত্র, গোলা-বারুদ এবং কাঠের নৌকা ও বাসসহ নিয়মিত মামলায় পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর কার্য্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।।।