নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলায় সভাপতি, শিক্ষক প্রতিনিধি কাউকে না জানিয়ে গভর্নিং বডির অনুমতি ছাড়াই বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ নুরল ইসলাম খোদাদাদ আবারো ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা বা তারও অধিক বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অফিস সহকারী পদে মেফতাউল জান্নাহ নামক এক চাকুরী প্রার্থীর আবেদন থেকে দেখা যায় যে, তিনি গত ০৮/০২/২০২৪ইং তারিখে অধ্যক্ষের সীল, স্বাক্ষরে পেলাম লিখে প্রার্থীর দরখাস্তটি নিজে নিজেই গ্রহন করেছেন, কিন্তু ঐ ধরনের আর কোন বা ঐটি মাদ্রাসা অফিসে জমা হয় নাই আজো বা কেহই জানে না এই দরকাস্তের বিষয়ে। দরখাস্তটি বাস্তবে মাদ্রাসা অফিসে অফিস সহায়ক কর্তৃক বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কেহ গ্রহন করার নিয়ম থাকলেও সাবেক অধ্যক্ষ নিজেই গ্রহন করার বিষয়টি চাকুরীপ্রার্থী ও অধ্যক্ষের মাঝে বিশেষ গোপন সখ্যতার সমন্বয় ঘটেছে বলে সুশীল সমাজ মনে করছেন।
উপজেলার বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন যে, অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম খোদাদাদ ডাক্তারের ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে বিভিন্ন সময় ছুটি কাটান, তিনি ছুটি ভোগ করা অবস্থায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন, এমতাবস্থায় গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত ছাড়াই ঘরে বসেই কাউকে অবগত না করে নিজে নিজেই পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অফিস কাম কম্পিউটার অপারেটর শূন্য পদে আবেদন গ্রহণ করে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা ঘুঁষ গ্রহন করেছেন সাবেক অধ্যক্ষ নুরল ইসলাম খোদাদাদ। অথচ আমাদের প্রতিষ্ঠানে অফিস সহায়ক আছে, আবেদন অফিসে আসলে অফিস সহায়ক রিসিভ করবে কিন্তু তা না করে টাকার বিনিময়ে বাসায় বসে থেকে আবেদন গ্রহণ করেন এবং বাসায় সিল স্বাক্ষর নিয়ে গিয়ে আবেদন কপি রিসিভ করেন অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম খোদাদাদ। তার মনগড়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি জানেনা অন্যান্য শিক্ষকগণও জানেন না। জনাব কালাম আরো জানান যে, সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ নূরল ইসলাম খোদাদাদ অত্যন্ত বড় ধরনের ধূর্ত ও প্রতারক, কারন জনাব খোদাদাদ নুরল ইসলাম সব সময় বলে থাকেন যে, আমি সভাপতির নির্দেশের বাইরে নই, আমি সভাপতির নির্দেশে সব কিছু করছি, আসলে এসব কথা নুরল খোদাদাদের বানানো কথা, যাতে লোকজন তারে বিশ্বাস করে, এখানে আসলে সভাপতির মৌখিক নির্দেশ দেয়া, শোনা, ও পালনের কোন সুযোগ নাই, সভাপতির নির্দেশ একমাত্র গভর্নিং বডির সভার আলোকে সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহনকৃত সিদ্ধান্ত সমুহে সভাপতির স্বাক্ষর, ঐ সিদ্ধান্তসমূহ প্রকৃত পালনীয় ও অনুসরনীয়, কিন্তু জনাব নুরল ইসলাম খোদাদাদ এখানে কৌশলের আশ্রয়ে কথা বলে লোকজনদের বোকা বনানোর প্লাটফর্ম তৈরী করে নিয়ে অর্থ প্রতারনা ও আত্মসাৎ করেই চলেছেন। তিনি আরো জানান যে, সভাপতি একজন ভাল, সৎ, শতভাগ দূর্নীতিমূক্ত মাদ্রাসা গঠনে সহায়ক ভুমিকার সাদা মনের মানুষ, যাঁর সাথেও প্রতারনা করেছেন খোদাদাদ নূরল ইসলাম, আর কোন জায়গা বাঁকি রাখবে এই প্রতারক নুরল ইসলাম এ বিষয়ে সভাপতি জনাব শহিদুল ইসলাম এর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান যে, আমি তার এই অনিয়মের সত্যতা পেয়েছি ও জনাব কালামের বক্তব্য উড়িয়ে দেবার সুযোগ নাই। কারন জনাব নুরল ইসলাম আমার বরাবর কোন আবেদন আজো করেন নাই যে, কোন শুন্য অফিস সহায়ক পদে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে, তিনি গভর্নিং বডির সভার কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই গোপনে এহেন কর্ম করেছেন যা ৪২০ ও ৪০৬ ধারায় ফৌজদারী দন্ডবিধিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। জনাব সাবেক অধ্যক্ষ নুরল ইসলাম খোদাদাদ জেল খাটার কারনে সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় থাকলেও তিনি দাবী করেছেন যে, তিনি বরখাস্ত হন নাই, গভর্নিং বডি তাকে বরখাস্ত করতে পারেন না। এই বলে তিনি মাদ্রাসার ইমেইল, সীম ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন ডকুমেন্ট নিজের কাছে আটকে রেখে নিজের সীম বন্ধ রেখে তার স্ত্রীর সীম চালু রেখে বাসায় বসে পরোক্ষভাবে মাদ্রাসা চালিয়ে প্রতারনা করেই যাচ্ছেন, তার অনিয়মকে থামানোই যাচ্ছে না, এর একটা বিহিত হওয়া দরকার বলে দাবী করেন জনাব সভাপতি।