নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর জেলার ধামইরহাট উপজেলার বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক জনাব আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ১৭/০৪/২০০২৪ ইং তারিখে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রেস ব্রিফিং এ উপজেলার বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি জনাব শহিদুল ইসলাম বলেন যে, শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদ বিছিয়ে রেখে প্রতারনামূলক কথা বার্তার মাধ্যমে তথ্য দিয়ে এর আগে আমার নামে কয়েকটা পত্রিকায় নিউজ প্রকাশ করিয়েছিল যার প্রত্যেকটার আমি প্রতিবাদ নিউজ দিয়েছি। তার প্রতিটা নিউজে বলে হচ্ছে যে, ৭০ লক্ষ টাকা আত্মসাতে নিয়োগ বানিজ্য হয়েছে।আজো তেমন একটা প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে বেশ কয়েকটি পত্রিকায় যেমন: দৈনিক দেশ বুলেটিন, দৈনিক কুষ্টিয়ার আলো, দৈনিক আজকের জনবানী, দৈনিক আমাদের কুষ্টিয়া, দৈনিক দেশ প্রতিদিনসহ আরো কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় বেশ কিছু বানোয়াট কথা বলে মিথ্যাচার করে গেছেন। যেমন:
১। “চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিভিন্ন প্রার্থীর থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেই যার পরিমাণ প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা এ বিষয়ে আমি ০৪/০১/২০২৪ ইং তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক অভিযোগটি তদন্তের জন্য ১০/০১/২০২৪ ইং তারিখে উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে দায়িত্ব দেন।” – এখানে অভিযোগ দিলেন, কিন্তু অভিযোগের সাথে মোটা অংকের ৭০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার কোন সংযুক্তি প্রমান দিলেন না। জনাব কালাম ০৭/০২/২০২৪ ইং তারিখের তার শোকজের জবাবে স্পষ্টভাবে দাবী করেন যে, সভাপতি একটি টাকাও ঘুঁষ গ্রহন করেন নাই ও সত্য বটে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার সকল বিষয় তদন্ত করেই তিন জন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীর কাগজপত্র কালামের অভিযোগের পরে অধিদপ্তরে বেতন ভাতার জন্য প্রেরন করেছেন। তাহলে তিনি কেন কালামের অভিযোগ আমলে নিয়ে নিয়োগ বাতিল না করে অগ্রনিত করলেন? সভাপতি যে একটি টাকাও গ্রহন করেন নাই, জনাব কালামের নিজের লেখা এমন একটি শোকজের জবাবে স্বীকারোক্তি কেন কালাম প্রেস ব্রিফিং এ প্রকাশ করলেন না। তিনি কি কোন লেনদেনের প্রমান দেখাতে পেরেছিলেন না শুধু গল্প বলেই খালাস।
২। “উপজেলা শিক্ষা অফিসার ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করে সত্যতা নিশ্চিত পেয়েছে কিন্তু সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম খোদাদাদ বিভিন্ন উপর মহলের আনাগোনার কারণে এখনো প্রতিবেদনটি দাখিল করে নাই উপজেলা শিক্ষা অফিসার।” – উপর মহলের কোন আনাগোনার কাল্পনিক কথা কালাম বুঝাতে চেয়েছেন? উপজেলা শিক্ষা অফিসার থেকে কি জনাব কালাম এমনটা জেনেছেন ও কোন প্রমান তিনি প্রেস ব্রিফিং এ দেখিয়েছেন?
৩।“এলাকার রুবেল হোসেনের কাছ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা নিয়েছে আরো অনেকেই এই প্রতিষ্ঠানে আছে যাদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে চাকরি দিয়েছে । ” – সভাপতি যে কারো কাছে থেকে টাকা নিয়েছে, তার প্রমান কি প্রেস ব্রিফিং এ দেখাতে পেরেছেন জনাব কালাম না এটাও কেবল প্রতারনামূলক গল্প?
৪। “আবেদন ছাড়াই এবং এক পোস্টে আবেদন করে অন্য পোস্টে চাকরি হয় এই প্রতিষ্ঠানে মাজেদুর রহমান ও সুমন হোসেন সহ আরো কয়েকজনের সভাপতি ও অধ্যক্ষ অর্থের বিনিময়ে তাদেরকে চাকুরী দিয়েছেন ব্যাংক ডাফ ছাড়াই ”।-বিষয়টি কি আদৌ সম্ভব? তাহলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার, ডিজির প্রতিনিধি, ডিজি অফিস ও নিয়োগ বোর্ড কি এসব দলিলাদী নিরিক্ষা করেন নাই? না কালাম নিরিক্ষার দায়িত্বে ছিলেন? না এখনো তা নিরিক্ষার সুযোগ নাই? আসলে কালাম নিজেই ২৫ লক্ষ টাকা সভাপতিকে ঘুঁষ প্রদানের মাধ্যমে অবৈধভাবে একটি ইন্টারভিউ কার্ড আবদার করে ব্যর্থ হয়ে অবুঝ বালকের মতো নিয়মের তোয়াক্কা না করা হাত পা ছোড়াছুড়ির গল্প বলেই যাচ্ছে। বিষয়গুলি চেক করলেই কালামের প্রতারনা ও ভন্ডামী ধরা পড়বে।
৫। “তাই না প্রতিষ্ঠানের জমি অন্যের কাছে বন্ধক রেখে সেখানকার টাকাও মেরে দিয়েছে তারা সবকিছুর পিছনে হাত রয়েছে সভাপতির শহীদুল ইসলামের”।– প্রতিষ্ঠানের জমি কখন বন্ধক রেখেছে? কালামকে উদ্ধারের দায়িত্ব দিলে কেন তা আজো রিপোর্ট আকারে দাখিল করেন নাই? সভাপতির দানের ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা তারা কি করে ভাগাভাগি করেছে? সভাপতির দানের টাকায় এক বিঘা জমি বন্ধক নিয়ে তার থেকে আয়ের টাকায় ছাত্রদের উপবৃত্তি দেয়া হয়েছে, এসব কি কালাম প্রেস ব্রিফিং এ বলেছেন? জমি বন্ধক রেখে টাকা মেরে দেয়ায় সভাপতির হাত আছে, তার প্রমান কি কালাম প্রেস ব্রিফিং এ দেখিয়েছিলেন, না আবারো মিথ্যাচারিতা?
৬। “তার ঢাকার বাসায় বসে নির্দেশ করেন তার নির্দেশে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি করে অর্থ নিয়ে ঢাকার বাসায় হাজির হন এই অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম খোদাদাদ এরা এই প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে এবং এই প্রতিষ্ঠানের এমপিও যাতে বন্ধ হয় এই জন্য এই দুর্নীতিগুলো করে বেড়াচ্ছেন ”।– সভাপতির বাসা ঢাকায়, তিনি কি গ্রামে বসবাস করেন? অনিয়ম দুর্নীতির অর্থ নিয়ে ঢাকার বাসায় হাজির ও সভাপতি কর্তৃক তা গ্রহনের কোন প্রমান কি প্রেস ব্রিফিং এ দেখিয়েছিলেন জনাব কালাম না, শুধুই মিথ্যাচারিতা?
৭। “সভাপতি জনাব শহিদুল ইসলাম ও অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম খোদাদাদ ইতিমধ্যেই তারা কয়েকজন মিডিয়াকর্মীকে ভুল তথ্য দিয়ে আমার নামে বিভিন্ন নিউজ প্রকাশ করেছেন সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম খোদাদাদ এদের এই অনিয়মের বিষয়ে কেউ কথা বললে তাদেরকে মাথা উঠাতে দেয় না সভাপতি শহিদুল ইসলাম নিয়োগ এর নামে বারবার বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ছেড়ে টাকা আত্মসাৎ করেন তারা নিয়োগের আগেই গাড়ি নিয়ে হাজির হন এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি শহীদুল ইসলাম পরীক্ষার হল থেকে বের হয়েই টাকার বেট কেস নিয়ে উধাও হয়ে যান তারা এই হলো এই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম খোদাদাদ ও সভাপতি ”।– জনাব কালামের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অনেকবার অনুসন্ধানী নিউজ হয়েছে ও কালামের দুর্নীতি প্রমানিত হয়েছে। কালাম এলাকার চিহ্নিত প্রতারক চক্রের সদস্যদের অন্যতম একজন যা তার অপকর্মের জন্য অনুসন্ধানী নিউজে এসেছে। ৩০/০৩/২০২৪ ইং তারিখে সভাপতি কর্তৃক প্রেস ব্রিফিং বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত, যেখানে কালামের সকল অপকর্মের কথা উল্লেখ আছে। এছাড়াও ১৬/০৪/২০২৪ ইং তারিখে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত নিউজ অনুসারে জানা যায় যে, কালাম এলাকায় একজন চিহ্নিত প্রতারক। ঐ অনুসন্ধানী নিজজে আরো জানা যায় যে, কালাম আনোয়ার নামের এক দিন মজুরকে দিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে থানায় সভপতির নামে নারী নির্যাতনের এজাহার করায়, কিন্তু পুলিশ ঘটনার সত্যতা না পেয়ে এজাহারটি বাতিলসহ মিথ্যা অভযোগ দায়ের কারী ও জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের পক্ষে মত দেয়।আমি সভাপতি হিসাবে আবারো বলছি, কালাম আমার ব্যবসার সুনাম, সামাজিক সুনাম ক্ষুন্ন করে চলেছে। কালাম কোনদিন আমার নিকট ইতিপূর্বে লিখিতভাবে কোন অভিযোগ দায়ের করে নাই। অথচ, কালামের ঘুঁষ প্রদানের চেষ্টা ব্যর্থ ও তার জালে আমাকে ফাঁসাতে না পেরে প্রতারনার জন্য বিভিন্ন উপায় খুজে বেড়াচ্ছে ও নিজে তার বেতন ভাতা বন্ধ হওয়া থেকে বাঁচার জন্য, চাকুরী বিধিমালা লঙ্ঘন করার জন্য চাকুরীচ্যুতি হওয়া থেকে বাঁচার জন্য মরিয়া হয়ে আমার মানহানী করেই চলেছে। কারো নিকট থেকে বা অধ্যক্ষের নিকট থেকে আমি যদি এক টাকাও গ্রহন করে থাকি, তাহলে কালামসহ যে কোন কেহ যদি প্রমান দিতে পারে তবে আমি তার শাস্তি মাথা পেতে মেনে নিবো, কিন্তু অপবাদ দিলে আমি তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নিবো ইনশাল্লাহ। কালাম যে অপবাদ দিয়ে চলেছে, তার জন্য আমি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সব কিছু করবো।
আমি কালামের মতো দূর্নীবাজ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আর পেরে উঠছি না। তারা ভন্ডামী করে মাদ্রাসাটাকে শেষ করে দিয়েছে।নতুন নতুন নিয়োগের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না, যদি জানে তা হলো কালাম আর অধ্যক্ষ। আমি মাননীয় মন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের সকল দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বিনয়ের সহিত বলব যে, এই প্রতিষ্ঠানকে রক্ষার জন্য খুব দ্রুত এদের মত কিছু শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করার অতি জরুরী। কারন আমি অসহায়, আমি পারতেছিনা এদের কাছে, এদের অনিয়মের কথা এদেরকে বলতে গেলে এরা আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করতেছে। তাদের এমপিও বন্ধের জন্য তারাই দায়ী। তারা ভাড়া করা ছাত্র দিয়ে মাদ্রাসা চালায়। আমার দানের টাকা তারা মেরে দিয়েছে।