বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সোনাগাজীর আলোচিত প্রতারক তুহিনের প্রতারণার বিষয়ে সোমবার সোনাগাজী উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিশদভাবে আলোকপাত হয়েছে, এবিষয়ে প্রতরক তুহিনের শিক্ষকতা যোগ্যতা, সনদ জালিয়তি সহ অন্যান্য প্রতারনার বিষয়ে প্রশাসন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবে বলে জানা গেছে।
সভায় উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য ও গনমাধ্যম কর্মিদের সূত্রে জানা গেছে, সভার একপর্যায়ে সোনাগাজী রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসাইন প্রতারক তুহিনের প্রসঙ্গ নিয়ে আলোকপাত করলে উপস্থিত গনমাধ্যম কর্মিরা তার কার্য্যক্রম নিয়ে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন।
প্রতারক তুহিনের সনদ জালিয়তি, সাংবাদিক ও মানবাধিকার পরিচয়ে প্রতারণা, বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে ছবি তুলে স্বার্থ হাসিলের জন্য প্রচার, অশিক্ষিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠি কে ভুল বুজিয়ে সাংবাদিকতার কার্ড ও মানবাধিকার সংস্থার কার্ড বিক্রি সহ বিভিন্ন প্রতারণার প্রসঙ্গ উঠে আসে।
দৈনিক প্রথমআলো প্রতিনিধি আমজাদ হোসাইন নাহিদ ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে বলেন, শুধু প্রতারক তুহিন নয়, তাকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যারা তুলে এনে প্রতারনার সুযোগ করে দিয়েছে, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যাবস্থা নেয়া হোক।
সোনাগাজী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি হাবিবুল ইসলাম রিয়াদ তার বক্তব্যে বলেন, প্রতারক তুহিনের কর্মকান্ড মানবাধিকার ও গনমাধ্যম ব্যাক্তিদের বিষয়ে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে, প্রতারক তুহিন কে আইনের আওতায় আনা হোক।
রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি এস.এন আবছার তার বক্তব্যে বলেন, প্রতারক তুহিন সার্টিফিকেট জাল করে নিজেকে উচ্চ শিক্ষিত দাবী করে সাংবাদিক ও মানবাধিকার নেতা পরিচয় দিলেও রিপোর্ট তৈরির মত যোগ্যতা তার নেই, তাকে উপস্থিত একটা নিউজ লিখতে দিবেন, এতে করেই এই প্রতারকের বিষয়ে আপনারা বুজতে সক্ষম হবেন।
এসময় রিপোর্টর্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ রিয়েল, সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন রিপন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কাজী নজরুল সহ উপস্থিত সকল সাংবাদিক প্রতারক তুহিনের বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টতা সকলের প্রতি অনুরোধ করেন।
গণমাধ্যম কর্মিদের আলোচনার পর প্রতারক তুহিনের বিষয়ে মন্তব্য করেন উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন, তিনি বলেন একটা রেজিষ্টার্ড মানবাধিকার সংস্থা কিভাবে এরকম লোকদের দায়িত্ব দিতে পারেন তা আমার বোধগোম্য নয়, তবে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিৎ।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা অজিত দেব বলেন, তুহিনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়েছে তা নিয়ে আপনারা একটা লিখিত অভিযোগ দেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে তদন্ত কমিটি করে আমরা পুরো বিষয়টি তদন্ত করে প্রতারণার বিষয়গুলোর সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যাবস্থা নেবো।