ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ত্রিশালে লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকানের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলছে। করোনার সময়ে অন্যান্য ব্যবসায় মন্দাভাব দেখা দেওয়ায় ব্যবসার ধরন পালটে অনেকে ওষুধের দোকানের প্রতি ঝুঁকছেন। ধার ধারছে না কোনো ধরনের লাইসেন্সের। ফলে লাইসেন্সবিহীন চলছে ওষুধ ব্যবসা। যেসব ফার্মেসির লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাদের নবায়নের ক্ষেত্রেও নেই কোনো আগ্রহ।
খোজঁ নিয়ে জানা যায়, ত্রিশাল পৌরসভাসহ ১২টি ইউনিয়নে প্রায় পাচঁশতাধিক ওষুধের ফার্মেসি রয়েছে। এর মধ্যে গোটা কয়েক ফার্মেসির ড্রাগ লাইসেন্স থাকলেও বাকি সবগুলোই চলছে লাইসেন্সবিহীন। প্রশাসনের নিরবতার ফলে মোটা অংকের রাজেস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। ছোট বড় এই ফার্মেসির মালিকদের না আছে শিক্ষাগত যোগ্যতা না আছে সংলিষ্ট কর্তৃপক্ষের নূন্যতম অনুমোদন। উপজেলার পৌরশহরেই রয়েছে অর্ধশতাধিক লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি।তারা নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা ব্যবসা।অনেক ফার্মেসিতে আবার ডাক্তারদের প্র্যাকটিসের নামে চলছে নামে বেনামে কোম্পানির ওষুধ সরবরাহের পন্থা ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা নিরীক্ষার বাণিজ্য। দীর্ঘদিন সং¯িøষ্টদের নজরদারী ও লাইসেন্স তদারকি কার্যক্রম না থাকায় দিনদিন বেড়েই চলেছে লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকানের সংখ্যা। এতে বৈধ লাইসেন্সধারীরা লাইসেন্স নবায়ন ও নতুনরা লাইসেন্স করতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন প্রশাসনের উদাসিনতার ফলে মোটা অংকের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এসব অবৈধ ফার্মেসির মেয়াদোর্ত্তীন ওষুধে প্রতিনিয়ত হররানির শিকার হচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অশিক্ষিত সাধারণ লোকজন।