কাজী সেলিমঃ
বিয়ের মেহেদীর রং শুকানোর আগেই যৌতুকের বলি হয় পলাশবাড়ীর মেয়ে শারমিনকে। বিয়ের মাত্র ১ মাস ৩ দিনের মাথায় লাশ হতে হলো পলাশবাড়ী পৌরসভার হরিণমারী মাহাবুব মিয়ার মেয়ে গৃহবধূ শারমিন আক্তার (১৮)।
১৭ মার্চ বৃহস্পতিবার গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় নিহত শারমিনের লাশ উদ্ধার করেছে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ।
থানা ও পরিবার সুত্রে জানা যায়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারী গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হরিণমারী গ্রামের মাহাবুব মিয়ার কন্যা শারমিন আক্তার (১৮) এর সাথে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সাগরপুর দিঘিরপাড় (ভোতরাপাড়া) গ্রামের এন্তাজ আলীর ছেলে ইউছুফ আলীর বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই স্বামী ইউসুফ যৌতুকের জন্য স্ত্রী শারমিনকে শারীরিক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল বলে নিহত শারমিনের পরিবারের দাবি।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৬ মার্চ বুধবার ইউসুফ আলী স্ত্রী শারমিনকে শশুরবাড়ী পলাশবাড়ী থেকে ফুসলিয়ে নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসে। পরে যৌতুক দাবি করে মানষিক নির্যাতন চালায় বলে নিহতের পরিবাবের অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার শারমিন আক্তারের গলায় ওড়না দিয়ে পেচানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ।
ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আবু হাসান কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, একটি (আনইউজুয়াল ডেথ ) ইউডি মামলা রুজু করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।