শিখা আক্তার স্টাফ রিপোর্টার
সম্প্রতি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য এতটাই ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে যে, নিম্ন আয়ের মানুষদের তিনবেলা খেয়ে পরে বেঁচে থাকাটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ থেকে সামনে কঠিন পরিস্থিতির পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। জাতিসংঘেরও হুশিয়ার বাণী রয়েছে দুর্ভিক্ষের ব্যাপারে। করোনা পরিস্থিতিতে যখন মানুষের জীবনযাপন স্থবির হয়ে পড়ে, ব্যবসা-বাণিজ্য থমকে দাঁড়ায় তখনই চিন্তাশীলগণ এই সংকটের পূর্বানুমান করেছিলেন। হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম তার সদস্যদেরকে তারও আগে থেকে কৃষিকাজে আত্মনিয়োগ করার ব্যাপারে জোর তাগিদ দিয়েছিলেন। তারই ফলশ্রুতিতে হেযবুত তওহীদ ২০২০ সালের প্রথম থেকেই দেশব্যাপী কৃষি পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম বলেন,আমি মনে করি আসন্ন দুর্দিনে টিকে থাকতে বাড়তি শস্য জমা রাখার বিকল্প নেই। তাই আমরা আমাদের আওতাধীন প্রতি ইঞ্চি মাটিকে উৎপাদনের আওতায় এনেছি। আল্লাহর রহমতে আমরা কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পেয়েছি।
আলু আমাদের দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। বাংদেশের প্রায় সর্বত্রই এর চাষ হয়ে থাকে। আলুতে রয়েছে উচ্চ পুষ্টিমান। আলু সাধারণত সবজি হিসাবে খাওয়া হলেও এটি একটি স্টার্চ প্রধান খাদ্য এবং ভাতের বিকল্প হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। তাছাড়া এই ফসল যেমন সহজে ফলানো যায় তেমনি সংরক্ষণও করা যায় বলে এর কদর সর্বদায় থাকে। অল্প জায়গাতে অনেক বেশি আলু ফলানো সম্ভব। কাজেই আমাদের সারা বছরের খাদ্য ঘাটতি পূরণ করার জন্য আলু চাষের কোন বিকল্প নাই।