মোঃ সিরাজুল হক রাজু স্টাফ রিপোর্টার।
বরিশাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির ফার্মেসী বিভাগের চুক্তি ভিত্তিক এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রদের সমকামিতার প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় ওই শিক্ষককে সাময়িক অব্যহতি দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ ডা: মানস কৃষ্ণ কুন্ডু। তিনি বলেন, চুক্তি ভিত্তিক শিক্ষক মিজানুর রহমানকে প্রথমে হোস্টেলের সহকারি সুপার পদ থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ইন্সটিটিউট থেকেও সাময়িক অব্যহতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযোগের বিষয়টি তদন্তে ইন্সট্রাক্টর আব্দুস সাত্তারকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।অধ্যক্ষ বলেন, মিজানুর রহমান আমার কোয়ার্টারেই থাকতো। তাকে নামিয়ে দেয়া হয়েছে এবং কোয়ার্টারে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে।এর আগে গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এক ছাত্র। অভিযোগকারি ওই ছাত্র জানান, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক মিজানুর রহমান নানা ভাবে ভয় দেখিয়ে কু প্রস্তাব ও সমকামিতার প্রস্তাব দিতো। শুধু আমাকে নয়, অনেক ছাত্রকেই সে এই প্রস্তাব দিয়েছে। কলেজের ছাত্রনেতাদের সাথে সু সম্পর্ক থাকায় কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস করে না। আমার সাথে মেসেঞ্জারে কথোপকথনে একাধিকবার আমাকে সমকামিতার প্রস্তাব দিয়েছে। তার এই কু প্রস্তাবের কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে নেশাসহ পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। আমি এই শিক্ষক লেবাসধারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।ছাত্রের অভিযোগের সাথে সংযুক্ত আট পৃষ্ঠায় প্রিন্ট করা মেসেঞ্জারের কথোপকথনে ওই ছাত্রকে অনেকবার শিক্ষক মিজানুর রহমানকে তার রুমে ডাকার পাশাপাশি সমকামিতার প্রস্তাব দেয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করা গেছে।এছাড়াও এক ছাত্র মঙ্গলবার অধ্যক্ষ বরাবর মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। অপরদিকে মিজানুর রহমান নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।এসকল অভিযোগের বিষয়ে ফার্মেসী বিভাগের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, আমাকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমি কিছু করিনি। আমার আইডি হ্যাক হয়েছিলো। থানায় জিডিও করেছি। আর আমি হোমিও প্যাথি চিকিৎসক তাই ডাক্তার শব্দ ব্যবহার করি। তদন্ত কমিটির তদন্তে সব কিছু বের হয়ে আসবে। গভীর ষড়যন্ত্র চলছে আমার বিরুদ্ধে।