নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
আমি মোঃ শহিদুল ইসলাম বড়থা ডি আই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠানের সভাপতি প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম দুর্নীতি নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কাজে জড়িত থাকায় গত ২৪/ ০৮/২০২৩ তারিখে অধ্যক্ষ মোঃ নুরুল ইসলাম খোদাদাদকে শোকজের নোটিশ দাখিল করি তার অনিয়ম দুর্নীতির কারণে দাখিলকৃত নোটিশে কারণ দর্শনা উল্লেখ করা হয়েছে কিন্তু তিনি অদ্যাবধি তার কোন জবাব দেন নাই। এমনকি গভর্নিং বডির বিভিন্ন মিটিং এ তার বিরুদ্ধে রেজুলেশন নিতে গেলে তিনি নিজে সদস্য সচিব ও বোর্ডের তার অনুগত সদস্যগন তা অনুমোদন করতে দেন নাই। উল্লেখ্য যে, তার বিরুদ্ধে কোন বোর্ডের কোন সিদ্ধান্ত ছাড়া অধ্যক্ষকে বিধি মোতাবেক বরখাস্ত করা সম্ভব নয়। অথচ, দৈনিক শিক্ষা ডট কম বিষয়টি না জেনে, আমি কোন সদুত্তর দিতে পারি নাই মর্মে উল্লেখ করেছে।
আমি নিজে প্রতিষ্ঠানকে ৫ লক্ষ টাকা দান করি তার মধ্যে ৩ লক্ষ টাকা অধ্যক্ষ মোঃ নুরুল ইসলাম খোদাদাদ আত্মসাৎ করেছেন মর্মে আমার দাবি। বিভিন্ন সময় গভর্নিং বডির কয়েকটি সভায় সকল সদস্যদের সামনে আমার থেকে দানের টাকা গ্রহন ও খরচের বিষয় বিস্তারিত হিসাব বোর্ড সভায় উপস্থাপন করতে বললেও তা তিনি বোর্ড সভায় তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। পরবর্তিতে গতকাল পর্যন্ত তার সিন্ডিকেট ঐ টাকা গ্রহনের কথা অস্বীকার করেছে। এ বিষয়ে আমি কথা বললে আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে এবং নিজেরা নিয়োগ বাণিজ্য করে নিজেদের দোষ আমার উপর চাপে দেওয়ার চেষ্টা করে। প্রতিষ্ঠানের রেজুলেশন খাতা তারা সিন্ডিকেট করে গায়েব করে ফেলেছেন যা অধক্ষের নিকট ছিল।
গতকালের দৈনিক শিক্ষা ডটকমে নিয়োগ প্রকাশিত হয়েছে দায় এড়ানোর চেষ্টা করতেছি কিন্তু তারা আমার কাছ থেকে কোন বক্তব্য না নিয়ে তাদের মনগড়া নিউজ প্রকাশ করেছে বলে আমি মনে করি। গতকাল অধ্যক্ষ মোঃ নুরুল ইসলাম খোদাদাদের সিন্ডিকেট একটি মিটিং করেছে। সেই মিটিয়ে আমার মতামত নেয়া হয় নাই, এমনকি অধ্যক্ষ জনাব নুরল ইসলাম খোদাদাদের জেলে থাকার বিষয়টিকে কেবলমাত্র অনুপস্থিত দেখিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে মিটিং শেষ করে। এ বিষয়ে মিটিং এ উপস্থিত সদস্যগন আমাকে কোন কিছুই অবহিত করার প্রয়োজন মনে করে নাই। আমাকে আগে জানানো হয়নি যে অধ্যক্ষ মোঃ নুরুল ইসলাম খোদাদাদের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা মামলা দায়ের হয়েছে যা দায়ের করেছেন একটি বেসরকারি এনজিও টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করার কারণে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এনজিওটি মামলায় আদালতে দীর্ঘদিন চলমান থাকার পরে আদালত থেকে রায় হয়। রায়ের পরে তার সাজা হলে কিছুদিন আগে থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে যা আমি পরে জানতে পারি। তার আগে আমি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসাবে তার অনিয়ম দুর্নীতির কারণে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি মিটিং ডাকি ও তাকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহন করে মিটিং শেষ করি। কিন্তু অতি পরিতাপের বিষয় এই যে, বোর্ডের জনাব নুরুল ইসলাম খোদাদাদ এর অনুগত সিন্ডিকেট ঐ সভার সিদ্ধান্তকে প্রত্যাক্ষান করে ও অধ্যক্ষের জেলে যাওয়ার কারন হিসাবে আমাকে দায়ী করতে থাকে। যদিও তার লোন, তার বিরুদ্ধে মামলা, তার গ্রেফতারের কোন বিষয়ই আমি অবহিত ছিলাম না। বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহনে আমি অটল থাকলে অধ্যক্ষ মোঃ নুরুল ইসলাম খোদাদাদের সিন্ডিকেট সদস্য আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা প্রচারণা এবং আমার মানহানী করার চেষ্টা করতেছে আমি এদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।