ছৈয়দ আজিম, টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী দাখিল মাদ্রাসার মাঠে কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের উদ্যোগে উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবাধ বিচরণ এবং অপহরণ,মাদক পাচারসহ নানা অপকর্মে জড়িত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দমন ও প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
(৩ এপ্রিল) বুধবার আবার সেই সমস্ত রোহিঙ্গা অপরাধীদের সাথে লিপ্ত থাকা রোহিঙ্গা নর-নারীদের বাসা ভাড়া দিয়ে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছেন অত্র এলাকার অর্থলোভী অসাধু ব্যক্তিরা। টেকনাফ অপরাধ দমন অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তব্যে, কক্সবাজারের জেলা পুলিশ সুপার মো.মাহফুজুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা উখিয়া-টেকনাফে অপহরণ,মাদক পাচারসহ নানা অপকর্মে সক্রিয় ভাবে জড়িত রয়েছে গহীন পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের বাড়ি ভাড়া দেওয়া মালিকদের উর্দ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি করে বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের বাসা ভাড়া দিবেন তারা স্হানীয় ভাড়া বাসায় আশ্রয় পেয়ে তাদের সাহস বেড়ে যাচ্ছে যদি রোহিঙ্গাদের কে ভাড়া বাসা দিয়ে থাকেন তাদের বের করে দেন। আর যারা রোহিঙ্গা নারী-পুরুষদের ভাড়া বাসায় রেখে অত্র এলাকায় সংঘঠিত বিভিন্ন অপকর্মে ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিল করে যাচ্ছেন সেই সমস্ত অপরাধী যত বড়ই প্রভাবশালী হোক না কেন তাদেরকেও কঠোর হস্তে দমন করা হবে। ইদানিং রোহিঙ্গা নারী-পুরুষরা মাদক ব্যবসা, চুরি-ডাকাতি ও অপহরণসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত করার জন্য আগের চেয়ে বেশী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
টেকনাফে অপহরণের শিকার হওয়া প্রতিটি ঘটনার পিছনে রোহিঙ্গারা জড়িত। ঐসকল অপরাধীদের শিকড় সন্ধান বের করার চেষ্টা চলছে খুব শীঘ্রই অপরাধীদের শিকড় কেটে দিব। অপরাধ করে কেউ রেহাই পাবে না বলেও হুঁশিয়ারি করেন পুলিশ সুপার।
মতবিনিময় সভায় হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী জানান, ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গারা বেরিয়ে অবাধ বিচরণের কারণে উখিয়া টেকনাফে অপহরণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের এই অপকর্ম নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে অপহরণ বানিজ্যের ভয়াবহ আরও বেড়ে যাবে। অপরাধ দমনে টেকনাফের হ্নীলাতে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করার দাবি জানান।
বিশেষ করে টেকনাফ উপজেলায় পুলিশের জনবল বাড়ানোর দাবি তুলে ধরে, বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, আমার ইউনিয়নের ২৭ কিলোমিটার গহীন পাহাড় এলাকা। আমাদের এলাকায় পুলিশের একটি ফাড়িঁ যেখানে পুলিশের সংখ্যা মাত্র ৭/১০জন। এগুলো দিয়ে অপরাধ দমন সম্ভব না। তাই পুলিশের জনবল বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানান চেয়ারম্যান খোকন ।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম,
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম হোসেন,টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গনি, টেকনাফ কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ আলম বাহাদুর ও উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান,মেম্বার ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।