বাহাদুর চৌধুরীঃ
ভোলার চরফ্যাশনে আপন ভাইদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ৫০’টি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগসহ বাবার ব্যাংকে জমা টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে চরফ্যাশন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার (৩ জুন) ভুক্তভোগী মোতালেব হোসেনের স্ত্রী শাহিদা বেগম বাদী হয়ে-রহিম,করিম,সুজন, জান্নাত ও রহিমাসহ পাঁচজনকে আসামি করে চরফ্যাশন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এমামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের মৃত কাঞ্চন আলী মাঝির ছেলে ও রহিমের স্ত্রী জান্নাত এবং মেয়ে রহিমা বেগম।
মামলা সূত্রে জানাযায়, শাহিদার স্বামীর বাবার সম্পত্তিসহ ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে ৪০.২৯ শতাংশ জমিতে বসত-বাড়ি ঘর, বাগান-বাগিচা, ও পুকুর পুস্করিণী নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ভোগ দখলে রয়েছেন।
হঠাৎ গত ২৮ জুন বুধবার বিকালে আসামিরা তাদের ভোগদখলীয় বাড়িতে অবৈধভাবে হামলা চালিয়ে ৩০ টি সুপারি গাছ ও ৫টি কাঁঠাল গাছ এবং ৩টি গাব গাছ কেটে নিয়ে যায়।
এ সময় মামলার বাদি সাহিদা বেগম ও তার মেয়ে বাধা প্রদান করিলে তাদেরকেও এলোপাতারি মারধর করে নীলা ফুলা জখম করেন এবং তাদের সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেন। এতে প্রায় এক লক্ষ ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের।
এছাড়াও মোতালেব হোসেন অভিযোগ করেন তার বাবা কাঞ্চন আলী মাঝির ব্যাংকে জমানো সাত লক্ষ টাকা ছিল। রহিম ওই একাউন্টের নমিনী থাকায় তার বাবা মারা যাওয়ার পর বাবার রেখে যাওয়া সাত লক্ষ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন অভিযুক্ত রহিম।
এছাড়াও তাদের ভোগ দখলীয় সম্পত্তি থেকে উৎখাতের হুমকি দিয়ে আসছেন বলেও মামলা সূত্রে জানা যায়।
এদিকে অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে রহিম জানান, যে গাছগুলো কাটা হয়েছে সেগুলো তার নিজের অংশের এবং কোনো টাকা ও স্বর্ণা- লঙ্কার আত্মসাৎ করা হয়নি এসব মিথ্যা অভিযোগ করছেন তারা।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক বিষয়ে ঝগড়া বিবাদ হতেই পারে। কিন্তু গাছ গুলো কেটে চরম অন্যায় করেছে।
শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এনামুল হক জানান, আদালতের মামলাটি থানায় আসলে,বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।