নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার ইংলিশ প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ
শত শত দুর্নীতির অভিযোগ যার বিরুদ্ধে সে কিভাবে ইংলিশ প্রভাষক ও শিক্ষক দাবি করেন বোঝে আসেনা। আমাদের , উপজেলার বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম খোদাদাদ কেউ মারতে দ্বিধাবোধ করে নাই এই প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ। তার স্বার্থে আঘাত পড়লেই তিনি হয়ে যায় ভয়ংকর, যার চোখের ইশারায় কথা বলতে পারে না একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও সভাপতি ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যবৃন্দ।
অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম খোদাদাদ বলেন, সরকারের অনুদান মাদ্রাসার বিল্ডিং। অনুদান আসার পর এই ইংলিশ প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন স্থানীয় ঠিকাদারের কাছ থেকে। ঠিকাদার ভয়ে বাধ্য হয়ে কাজ ছেড়ে অন্যের হাতে বুঝিয়ে দিয়ে চলে য়ায়। তিনি আরো বলেন যে, আবুল কালাম আজাদ গত নিয়োগ পরীক্ষার আগের দিন একটি এডমিট কার্ড দাবী করেন ঐ পরীক্ষার্থীর জন্য যে পরীক্ষার্থী আদৌ দরখাস্ত করে নাই।ঐ এডমিট কার্ড ইস্যু ও ঐ প্রার্থীকে চাকুরী প্রদানের বিনিময়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের সভাপতিকে ২৫ লক্ষ টাকা ঘুঁষ প্রস্তাব করলে, সভাপতি তা প্রত্যাক্ষান করেন ও ২৭/১২/২০২৩ বোর্ডের সভায় জনাব আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বোর্ড সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। এতে আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলমান আছে। বোর্ড মিটিংএর সিদ্ধান্তক্রমে গত ৩০/০১/২০২৪ইং তারিখে তাকে শোকজ করা হয় ও তা তিনি ০১/০২/২০২৪ইং তারিখে তা গ্রহন করেন ও ক্ষিপ্ত হয়ে ০৭/০২/২০২৪ইং তারিখে আমার ও সভাপতির বিরুদ্ধে থানা নির্বিহী অফিসার বরাবর মিথ্যা – বানোয়াট অভিযোগ করেন।তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন যে, আবুল কালাম আজাদ শুধু নামেই প্রভাষক তিনি হঠাৎ একদিন দেখা মেলে প্রতিষ্ঠানে জোর করে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন, তিনি অথচ সময় মত বেতন নেওয়ার জন্য উপস্থিত হয়ে যান । এলাকার স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, এই একটি শিক্ষকের কারণে আজ বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার অবস্থা খুবই খারাপ প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের মূল হোতা এই আবুল কালাম আজাদ তার কিছু সিন্ডিকেট বাহিনী আছে যাদেরকে ব্যবহার করে নিয়মিত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ ও প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি, যার ফলে প্রতিষ্ঠানে কোন ছাত্র-ছাত্রী নাই বললেই চলে। একই প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক তিনি বলেন আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে আরো দুইজন সিন্ডিকেট বাহিনীর সদস্য জড়িত আছে। তারা জামাত-শিবিরের সদস্য আবুল কালাম আজাদকে ব্যবহার করে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করতেছে। আমরা অনেক শিক্ষকেরা তার অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছি কিন্তু কিছু বলতে পারি না বলতে গেলেই আমাদের নামে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ অথবা মামলা-হামলা করতে পারে বলে আমরা মনে করি, এই ভয়ে আমরা তাকে কিছু বলতে পারি না বলে জানান তিনি।আমরা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক বিচার চাই।