পিরোজপুর থেকে এস এম মনিরুজ্জামান : পিরোজপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ১০ ম শ্রেনির ছাত্র সাদমান সাকিব প্রিন্স (১৪) এর চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামী মোঃ নাজমুল হাসান নাইম পিতা- মোঃ শফিকুল আলম হাওলাদার সাং- দক্ষিন ইন্দুরকানী থানা- ইন্দুরকানী জেলা পিরোজপুর কে গতকাল ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।ডিসিস্ট গত ২৯/৮/২০১৩ তারিখে নিখোঁজ হয়। পরে ৩০/৮/২০১৩ তারিখে তার বাবা মোঃ জাকির হোসেন সরদার (লিটন) সাং- আদর্শপাড়া, পিরোজপুর সদর থানায় জিডি করেন যার নম্বর ১২৪৬ তাং- ৩০/৮/২০১৩। পরদিন ১/৯/২০১৩ তারিখে পিরোজপুর শহরস্হ সিআইপাড়া রায়ের পুকুর পাড়ে সকাল ৬ ঘটিকায় তার ছেলের লাশ ভেসে ওঠে। ঐ ঘটনায় তিনি ৮ জনকে আসামী করে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা নং- ০১ তাং-২/৯/২০১৩ ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘ তদন্ত ও বিচার শেষে এজাহারনামীয় ২ জন আসামীকে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালত, পিরোজপুর ২০১৭ সালে দন্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় ১। মোঃ নাফিজ হাসান নাহিদ ও ২। মোঃ নাজমুল হাসান নাইম (পলাতক) কে মৃত্যুদন্ড ও ৫০,০০০ টাকা জরিমানা এবং দন্ডবিধির ২০১ ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০,০০০ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।
মামলা রুজুর পর হতে আসামী মোঃ নাজমুল হাসান নাইম পিতা- মোঃ শফিকুল আলম হাওলাদার সাং- দক্ষিন ইন্দুরকানী পলাতক ছিল ।উক্ত পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে সাভার থানায় একটি প্রতারনার মামলা হয় যার মামলা নং-৪৮ তাং- ২৬/৩/২০২৩ ধারা- ৪২০,৪০৬, ৩৭৯ দন্ডবিধি। উক্ত মামলার তদন্তকারী অফিসার আসামীর নাম-ঠিকানা পিসিপিআর যাচাইয়ে অত্র ইন্দুরকানী থানায় অনুসন্ধান স্লিপ পাঠান। উক্ত অনুসন্ধান স্লিপ তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই মোঃ মুনসুর আলম অনুসন্ধানকালে জানতে পারেন আসামী ঢাকায় পলাতক আছে। সাভার থানার রুজুকৃত মামলার বাদী মোঃ গিয়াস উদ্দিনের সাথে তিনি যোগাযোগ করে আসামীর ছবি, মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে। মোবাইল নম্বরটি আসামীর মায়ের
নামে রেজিস্ট্রেশন করা। আসামী ও তার মায়ের এনআইডি দিয়ে ১৯ টি সীম উত্তোলন করা হয়েছে। আসামী তার ছদ্ম নাম আরমান ব্যবহার করে দারাজ কোম্পানী হতে একটি পার্সেল অর্ডার করেছিলো। পুলিশ সুপার, পিরোজপুর জনাব মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, পিপিএম এর দিকনির্দেশনায় ইন্দুরকানী থানা পুলিশ উক্ত দারাজ কোম্পানির সহিত আসামী আরমানের মেসেজ আদান-প্রদানের তথ্য পর্যালোচনা করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তার ঢাকার ঠিকানা সংগ্রহ করে ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন ১৬৬/২ মানিকদি এলাকা হতে ইন্দুরকানী থানা পুলিশের এএসআই মোঃ মুনসুর আলম ১১ বছর ছদ্মনামে আত্মগোপনে থাকা আসামী মোঃ নাজমুল হাসান নাইমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।