মোঃ সাকিল হোসেন ধামইরহাট নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার ইংলিশ টিচার এর নিজের অনিয়ম অপরাধ ঢাকার জন্য প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জনাব মোঃ শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানী রিপোর্টে জানা যায় উপজেলার বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার ইংলিশ টিচার আবুল কালাম আজাদ বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি করে নিজের দোষ কাটানোর জন্য প্রতিষ্ঠানের সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও প্রচারণা করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রাইম সংবাদ তালাশের একটি টিম সূত্র ধরে এ বিষয়ে কথা বলেন এলাকার স্থানীয় মোস্তাকিম হোসেন। তার সঙ্গে তিনি বলেন ইংলিশ টিচার আবুল কালাম আজাদ এই প্রতিষ্ঠানের ইংলিশ টিচার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেছেন কিন্তু তিনি সময়মতো ক্লাস নেন না, নিয়মিত মাদ্রাসায় হাজির থাকেন না। শুধু তাই না আবুল কালাম আজাদ কিছুদিন আগে একটি নিয়োগ পরীক্ষার ঠিক একদিন আগে সভাপতি জনাব মোঃ শহিদুল ইসলামকে ২৫ লক্ষ টাকার ঘুষ প্রদানের অফার করেন কিন্তু সভাপতি জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম আবুল কালাম আজাদের এই ঘুষ প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেন। এতে জনাব আবুল কালাম আজাদ ক্ষিপ্ত হয়ে সভাপতিকে অকথ্য ভাষায় শিষ্ঠাচার বহির্ভুত গালিগালাজ করেন যা চাকুরীবিধিমালায় মৌলিক অসদাচারন এর মধ্যে পড়ে।এতে সভাপতি তৎক্ষনাৎ জনাব আবুল কালামকে একাডেমিক অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে অপসারন করেন। এতে জনাব আবুল কালাম আজাদ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে পরের দিন সভাপতিকে আরো জোরালো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এতে গভর্নিং বডির সভার সিদ্ধান্তক্রমে জনাব আবুল কালাম কে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। গভর্নিং বডির সভার সিদ্ধান্ত, জনাব আবুল কালাম আজাদ কে করা শোকজ ও জনাব আবুল কালামের শোকজের জবাব ও তার সাথে কথা বার্তা পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, জনাব আবুল কালামের উদ্ধতঃপূর্ণ আচরন ও মৌলিক অসদাচারনের বিষয়টি অতি স্পষ্ট। যা কিনা চাকুরী বিধিমালার মৌলিক বিধির লঙ্ঘন। জনাব আবুল কালাম আজাদ সভাপতির বিরুদ্ধে যে একটি অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর, তার অভিযোগের প্রতিটি পয়েন্ট ধরে বিশ্লেষন করে এগিয়ে গেলে দেখা যায় যে, অভিযোগগুলি তিনি রাগের বশবর্তি হয়ে সভাপতিকে হেয় করার উদ্দেশ্যে করেছেন ও এখনো করেই যাচ্ছেন। জনাব আবুল কালামের সাথে কথা বললে তার আচরনে এমনটিই ধরা পড়ে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব আবুল কালাম আজাদের আবেদনের বিষয়টি আমলে নিয়ে উপজেলার শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব প্রদান করেন কিন্তু তদন্ত অফিসার তদন্ত করে সত্যতা না পাওয়াই প্রতিবেদনটি বাতিল করেন। এ বিষয়ে শাকিল হোসেন বলেন, “কে শুনে কার কথা দুর্নীতি করলেন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল শত শত মানুষের টাকা। ভাগ বাটোয়ারা না পাওয়াই আবু কালাম আজাদ অভিযোগ করলেন সভাপতির বিরুদ্ধে; কিন্তু কথায় আছে না, অপরাধ যে করে সাজা তাকে ভোগ করতে হয়, আবুল কালাম এতই ভালো মানুষ হবে তাহলে প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পাওয়ার পরও কেন দায়িত্ব পালন করতে পারলেন না। তিনি তার কথায় কথায় উঠে আসে যে, সেই দিনের কথা ২৫ লক্ষ টাকার ক্যান্ডিডেট নিয়ে এসে আবেদন না করেই পরীক্ষার হলের পাশ চেয়েছিলেন তিনি সভাপতির কাছে। সভাপতি পাস না দেওয়াই মিথ্যা অপবাদ দেওয়া শুরু করলেন তিনি। অনুসন্ধানী রিপোর্টে জানা যায়, এই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল নুরুল ইসলাম খোদাদাদ কে এই ইংলিশ প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ গায়ে হাত তুলেছিলেন। এখানে প্রশ্ন এসে দাঁড়ায় তিনি কি শিক্ষক না একজন ক্যাডার? সংবিধানের আইনে কি বলে? একজন সহকারী শিক্ষক কি আরেকজন উদ্ধতম কর্মকর্তা প্রিন্সিপালের গায়ে হাত তুলতে পারেন? সংবিধানের কোন পাতায় লেখা নাই। কথা হয় আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে, নিজের দোষ এড়ানোর জন্য সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পরেই উল্টো পাল্টা কথা বলেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের নেতা তার পকেটে থাকে বলে দাবী করেন। তার এ বিষয়ে কয়েকজন রাজনৈতিক মহলের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন যে, চোরে বলে ধর্মের কথা, আবুল কালাম আজাদ নিজেই অপরাধ করে আবার অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেয়। তিনি নিজেই তো ঠিকমত ক্লাসে আসেন সাত দিন পরে, সিগনেচার করে বেতন উঠায়, সে বলে আবার নীতির বাক্য বলে জানান তারা।